দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলই নয়, আপনি ইচ্ছে করলেই রাজধানী ঢাকার কয়েকটি স্থানে বেড়াতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হলো বাহাদুর শাহ পার্ক ও বলধা গার্ডেন। ছুটির দিন আপনি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
শুধু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলই নয়, আপনি ইচ্ছে করলেই রাজধানী ঢাকার কয়েকটি স্থানে বেড়াতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হলো বাহাদুর শাহ পার্ক ও বলধা গার্ডেন। ছুটির দিন আপনি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
বাহাদুর শাহ পার্ক
ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে পুরান ঢাকার সদরঘাটের সন্নিকটে। এর পশ্চিমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তর পশ্চিমে জেলা আদালত অবস্থিত। বহু পূর্বে এই বাহাদুর শাহ পার্কের নাম ছিল ভিক্টোরিয়া পার্ক। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবে শহীদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সিপাহি যুদ্ধের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বাহাদুর শাহ জাফরের নামানুসারে এই পার্কের নামকরণ করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।
বলধা গার্ডেন
ওয়ারিতে অবস্থিত এটি মূলত একটি উদ্ভিদ উদ্যান। বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ৩.৩৮ একর জমির ওপর ১৯০৯ সালে এই উদ্যানটি নির্মাণের কাজ আরম্ভ করেন; যা শেষ হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ বছর। বিরল প্রজাতির ৮০০ গাছসহ বাগানটিতে প্রায় ১৮ হাজার গাছ-গাছালি রয়েছে।
বর্তমানে এখানে ৬৭২ প্রজাতির উদ্ভিদও রয়েছে। বাগানটিতে এমনও অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা বাংলাদেশের অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ওয়ারি, টিকাটুলী এবং নারিন্দার ঠিক মাঝখানে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে বলধা গার্ডেন তৈরি করেছেন।
বলধা গার্ডেনের এক পাশের নাম সাইকি ও অপর পাশের নাম সিবিলি। বলধা গার্ডেনের সাইকি অংশটিতে সবার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এর কারণ হলো এমন কিছু দুর্লভ প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা মানুষের আনাগোনায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এই ব্যব্স্থা নেওয়া হয়েছে। সাইকিতে নীল, লাল ও সাদা শাপলাসহ রঙিন পদ্মা, তলা জবা, অপরাজিতা, ক্যাকটাস, জবা, পামগাছ, প্রভৃতি গাছ রয়েছে। এখানে আরও রয়েছে ‘সেঞ্চুরি প্ল্যান্ট’ নামক শতবর্ষে একবার ফোটা ফুলের গাছও। সপ্তাহের প্রতিদিনই এটি সকাল ৮টা হতে ১১টা ও বেলা ২টা হতে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।