দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় এক নারী তিনি আগেই হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের অধিকারী। দীঘল কালো লম্বা চুলে এবার নিজের সেই রেকর্ড তিনি নিজেই ভাঙলেন।
ভারতীয় ওই নারী আবারও নাম লেখালেন গিনেস বুকে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আবারও এই নতুন রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন ভারতীয় কিশোরী। তার চুলের দৈর্ঘ্য বর্তমানে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। তার আগের রেকর্ডে যা ছিল প্রায় সাড়ে ৫ ফুট।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, ১৭ বছর বয়সী ওই নারী নীলাংশী প্যাটেল ভারতের গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা। চুলের মতো রেকর্ডটাও এবার আরও দীর্ঘ করে নিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয় লম্বা চুলের রেকর্ড দখল করে নীলাংশীর নাম পূর্বেই উঠেছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বুক এ।
২০১৮ সালে যখন তিনি প্রথম এই রেকর্ড করেন তখন তার চুলের দৈর্ঘ্য ছিল ১৭০ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৫ ফুট। নিজের সেই রেকর্ড টপকে বর্তমানে তার চুলের দৈর্ঘ্য ১৯০ সেন্টিমিটার বা প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পক্ষ হতে তাকে নতুন করে আবারও স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে।
গুজরাটের নীলাংশী তার দেশে ভারতীয় ‘রাপুঞ্জেল’ হিসেবে পরিচিত। গুজরাটের মোদাসা নামক এলাকার বাসিন্দা এই কিশোরীকে তার বন্ধুরা ‘রাপুঞ্জেল’ নামে ডাকেন। গত ১১ বছর ধরে চুল কাটেননি তিনি। তার বয়স যখন ৬ বছর তখন সেলুনে চুল কাটাতে গিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ার পর হতে ওই কিশোরী এখন পর্যন্ত একবারও তার চুল কাটেননি।
নতুন রেকর্ড তৈরির পর নীলাংশী জানিয়েছেন যে, কখনও তিনি চুল কাটতেও চান না। এরকম পরিকল্পনা তার নেই কারণ হলো চুলগুলো তার ভীষণ প্রিয়। লম্বা চুলের রহস্য জানতে চাইলে নীলাংশী বলেন, তারই মা বিশেষ কিছু উপাদান দ্বারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে একটি তেল তৈরি করেন। ছোটবেলা হতেই সেই তেলই ব্যবহার করে আসছেন তিনি।
নীলাংশীর মা চান তার মেয়ের চুল আরও অনেক লম্বা হোক। ভবিষ্যতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নীলাংশী। তিনি জানালেন, এতো লম্বা চুল নিয়ে কোনো অসুবিধাই তার হয় না। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এতো লম্বা চুল কখনও তার বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই তিনি চান যতোদিন বেঁচে থাকবেন এই চুলে তিনি কখনও কাচি চালাবেন না।
স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যখন মা তার চুলে তেল মাখান কিংবা জট ছাড়াতে বসেন নীলাংশী তখন বই হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করেন। চুলে তেল দিতে যতোক্ষণ সময় লাগতো ওই সময়টা পড়াশোনা করেন নীলাংশী। ছোটবেলা থেকেই এটা নাকি তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নীলাংশী বর্তমানে ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স’ পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।