দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ই-পাসপোর্টের বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল (বুধবার) হতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করেছেন।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস হতে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ই-পাসপোর্ট পেতে কতোদিন সময় লাগবে:
ই-পাসপোর্ট মূলত ৪৮ এবং ৬৪ পাতার হবে। এই পাসপোর্টের ধরন তিন রকম। যেমন- ‘অতি জরুরি’, ‘জরুরি’ এবং ‘সাধারণ’। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ফি জমা দিতে হবে।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
# ৪৮ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে আপনাকে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা।
# ৪৮ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা।
# ৪৮ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
# ৪৮ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনের মধ্যে পেতে ফি দিতে হবে ৫,০০০ টাকা।
# ৪৮ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা।
# ৪৮ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
# ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা।
# ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা।
# ৬৪ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ১০,৫০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
# ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা।
# ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।
# ৬৪ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে হলে ফি দিতে হবে ১২,০০০ টাকা।
তবে এই উপরোক্ত ফি’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট জমা দিতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সেক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।