দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাস চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আরও ৩ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষমতা আরও প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তারপর হতেই চীনের বিভিন্ন শহরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। একটি সামুদ্রিক বাজার হতেই ওই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উহান হতে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে গণপরিবহন, বিমান চলাচল এবং রেল সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। চীনের অন্যান্য শহরে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুবেই প্রদেশে নিহতের সংখ্যা ৫৬ হতে ৭৬ এ দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য শহরে আরও চারজনের মৃত্যু ঘটেছে।
এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭শ ৪৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। চীনের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত তিন শতাধিক মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চীনের হুবেই প্রদেশে ৫০ হাজারের বেশি মেডিকেল স্টাফ এই ভাইরাস প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় অংশ নিয়েছেন।
কমপক্ষে দুই হাজার শয্যাবিশিষ্ট দু’টি নতুন অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানা যায় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। মাস্ক ও সুরক্ষিত পোশাক উৎপাদনে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি দেখা যেতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়া হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা যায়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানায় রয়ে গেছে। তবে নতুন এই করোনা ভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক একটি রোগ। সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বরের লক্ষণ হতে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে এই করোনা ভাইরাস।