দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এমন কথা শুনে যে কেও আশ্চর্য হবেন সেটিই স্বাভাবিক ব্যাপার। এবার সত্যিই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এবার মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়েছে! এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী চীনের রাজ্য হেইলংজিয়াংয়ের তংজিয়াং শহরে। সেখানকার হ্যাজেন সম্প্রদায়ের মানুষরা মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক তৈরি করেন। তবে সম্প্রতি সময় এই সম্প্রদায়ের লোকেরা পোষাক তৈরি কমিয়ে দিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়।
সত্যিই এমন কথা শুনে যে কেও আশ্চর্য হবেন সেটিই স্বাভাবিক ব্যাপার। এবার সত্যিই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এবার মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়েছে! এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী চীনের রাজ্য হেইলংজিয়াংয়ের তংজিয়াং শহরে। সেখানকার হ্যাজেন সম্প্রদায়ের মানুষরা মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক তৈরি করেন। তবে সম্প্রতি সময় এই সম্প্রদায়ের লোকেরা পোষাক তৈরি কমিয়ে দিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা চীনের রাজ্য হেইলংজিয়াংয়ের তংজিয়াং শহরে হ্যাজেন সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন।
গত শতকের ৩০ ও ৪০ দশকে জাপানিরা মাঞ্চুরিয়া দখল করলে ওই সম্প্রদায়ের অনেককে হত্যা করা হয়। যে কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হ্যাজেন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০ জনের মতো। অবশ্য এখন সেটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫ হাজার। ছবিতে হ্যাজেনদের একটি গ্রামও দেখা যাচ্ছে।
কিভাবে বানানো হয় এই পোশাক? জানা গেছে, প্রথমে মাছের ত্বক ছাড়িয়ে শুকানো হয়। তারপর তা নরম করে তা দিয়ে জামাকাপড় তৈরি করা হয়। এগুলো সময় লাগে প্রায় এক মাস। সেলাই করতে লাগে আরও ২০ দিন।
হ্যাজেন সম্প্রদায়ের তরুণরা মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক বানাতে তেমন একটা আগ্রহী নন। এছাড়াও হ্যাজেন সংস্কৃতিতেও নিত্যদিনের পোশাক তৈরিতে মাছের ত্বক ব্যবহৃত হয় না খুব একটা।
হ্যাজেন তরুণদের আগ্রহ কম থাকায় ওয়েনফেঙ স্থানীয় হান চীনা নারীদের মাছের ত্বক দিয়ে পোশাক তৈরির কৌশল শেখান। এভাবেই অন্তত ঐতিহ্যটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন এই সম্প্রদায়ের মানুষরা।
ডিয়র, প্রাডার মতো ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো মাঝেমধ্যেই মাছের ত্বক দিয়ে বানানো পোশাক নিয়ে এসেছে। তবে তা এখনও বাণিজ্যিকভাবে ততোটা সফলও হয়নি।