দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল শেষ হয়েছে রহমনের ১০ দিন। আজ শুরু হলো মাগফিরাতের দিন। রমজান এলে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যের সমপ্রীতি যেনো বৃদ্ধি পায়। এই সমপ্রীতি সারা বছর অটুট থাকা দরকার।
আজ ১১ রমজান। গতকালের ইফতারের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়েছে রহমতের ১০ দিন। আজ রমজানের মধ্যভাগ শুরু হলো। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম রমজানের মধ্যভাগকে মাগফিরাত অভিধায় অভিহিত করেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন : আউসাতুহু মাগফিরাত।
রমজান মাসে বেশি বেশি সওয়াব সংগ্রহ করা যায়। এই মাসের পবিত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। যদি কেও লোক দেখানো সিয়াম রেখে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের পথ করে নেয়, যদি কেও পণ্যসামগ্রীতে ভেজাল দিয়ে কিংবা ফরমালিন ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের লাভ করতে চায়, যদি ওজনে কম দিয়ে লোককে ঠকায়, তা হলে আদতে মোবারক মাস রমজানকেই কেবল অবজ্ঞা করে হবে না, সে নিজে নিজেকেই হত্যা করে। তাকে কোনো অবস্থাতেই মানুষ বলা যায় না। সে নরাধম। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম মাহে রমজান সম্পর্কে বলেছেন : শাহরুল মুত্তায়াসাতথ সহমর্মিতার মাস।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম যে মাসকে সহমর্মিতার মাস বলেছেন, তাকে আমরা যারা মর্যাদা দিই না তারা কোনো অবস্থাতেই ভালো মানুষ হতে পারি না। এই মাসে মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ হয়। মানুষ মানুষের জন্য- এই কথা প্রায়শ বলা হয়; কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটুকু সত্যি হয়, তা ভেবে দেখা দরকার। সিয়াম পালনের মাধ্যমে সেই চেতনা রপ্ত করেন একজন সায়িম বা রোজাদার।
মানুষের মধ্যে যে পশু-প্রবৃত্তি রয়েছে, যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য বা ষড়রিপুর তাড়না রয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণ ও দমন করার প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ হয় সিয়াম পালনের মাধ্যমে। এটি যে অর্জন করতে পারবে সে প্রকৃত মুসলমান হিসেবে পরিগণিত হতে পারবে। আর যে এটি করতে পারবে না সে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।
মহান রাব্বুল আলামিন বিভিন্নভাবে এই সিয়াম সাধনাকে মর্যাদা দান করেছেন। এই মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের অনেক সুযোগ দিয়েছেন- পাপ মোচনের। এই এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রাব্বুল আলমিনের অশেষ রহমত পাওয়া সম্ভব।