দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চারদিন পর দিল্লির সহিংসতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল (বুধবার) এক টুইট বার্তায় মোদি বলেছেন, ‘আমার ভাই ও বোনদের দিল্লিতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।’ প্রতিহিংসা বন্ধে এ আবেদন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, আমার দফতর পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। আশা করি সকলেই শান্তি বজায় রাখবেন।
চারদিন পর দিল্লির সহিংসতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল (বুধবার) এক টুইট বার্তায় মোদি বলেছেন, ‘আমার ভাই ও বোনদের দিল্লিতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।’ প্রতিহিংসা বন্ধে এ আবেদন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, আমার দফতর পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। আশা করি সকলেই শান্তি বজায় রাখবেন।
এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, দিল্লির সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। আগামী এক মাস সংঘর্ষ এলাকায় কার্ফু জারি থাকবে বলেও জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উত্তরপূর্ব দিল্লির ডিসিপি’র সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তামিলনাড়ু সফর বাতিল করে দফায় দফায় বৈঠক সারেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে এদিন সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকে অজিত ডোভাল পরিস্থিতি পর্যালোচনার সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার হতে নাগরিকত্ব আইন দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে দিল্লি। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পক্ষে ২৭ জন। গুলিবিদ্ধ বা পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। জানা গেছে, এই সংঘর্ষের জেরে বোর্ড পরীক্ষাও স্থগিত করেছে সিবিএসই। বুধবার বন্ধ ছিলো এলাকার প্রায় সব সরকারি স্কুল। রায়ট গিয়ারে ফ্ল্যাগমার্চ দিচ্ছেন আধা-সেনার জওয়ান এবং দিল্লি পুলিশ। দেখলেই গুলি অর্থাৎ শুট অ্যাট সাইটের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিকে দিল্লি পুলিশের এমন ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট।