দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি বাজারে অটোভ্যান বা রিকশার মতো ভাড়ায় মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এলাকার বেকার শতাধিক যুবক।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১০ বছর ধরে এই বাজার হতে যাত্রী ভাড়া ঠিক করার পর মোটর সাইকেল চালকের পিছনে যাত্রী বসিয়ে যাত্রীকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেয় এলাকার যুবকরা। শুধুমাত্র বিন্যাকুড়ি বাজার হতেই প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল ভাড়ায় চলাচল করে। যে কারণে প্রায় শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। একজন ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা হতে প্রায় দেড় হাজার টাকা দৈনিক আয় করে থাকেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি বাজারের রাস্তার পার্শ্বে ভাড়ায় মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড করে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে প্রতিদিন শতাধিক যুবক মোটর সাইকেল চালক। মোটর সাইকেল চালকের সঙ্গে সময় এবং দূরত্ব জানার পর যাত্রীর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই বিন্যাকুড়ির বাজারের আশেপাশের লোকজনরাই এই মোটর সাইকেলের যাত্রী হয়ে থাকেন।
জানা গেছে, বিন্যাকুড়ি বাজারের কয়েক কিলোমিটারের গ্রামের মানুষরাই এই মোটর সাইকেলের যাত্রী হয়। এই মোটর সাইকেলে নারীরাও যাত্রী হয়।
এই বিষয়ে মোটর সাইকেল যাত্রী আতাউর রহমান বলেন, স্বল্প সময়ের অল্প ভাড়া দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মোটর সাইকেল চালকরা আমাদেরকে গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। মোটর সাইকেল ভাড়ায় পাওয়ায় নিজের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার অল্প সময়ে নিজ বাড়ি ফিরে আসতে পারায় যাত্রীরাও অনেক খুশি থাকেন।
মোটর সাইকেল যাত্রী রমজান আলী এই বিষয়ে বলেন, এই এলাকার রাস্তা-ঘাট সরু হলেও মোটরসাইকেল চালকের সাহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত স্থানে আমরা পৌঁছাতে পারছি। অনেক সময় রাতে জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলেও মোটর সাইকেল চালকদের ফোন দিলে তারা চলে আসে আমরাও রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারি এবং আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
এই বিষয়ে মোটর সাইকেল চালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে যখন কোনো চাকরি পাচ্ছিলাম না, তখন মোটর সাইকেল শো-রুমে কিছু টাকা জমা দিয়ে আমি মোটর সাইকেল ক্রয় করি। সেই মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে কিস্তির টাকাও পরিশোধ করছি এবং নিজের পরিবারও চালাচ্ছি।
মোটর সাইকেল চালক মাসুদ রানা বলেন, চাকরি পাওয়া খুবই সমস্যার বিষয়, তাই একটা মোটর সাইকেল ক্রয় করে সেই মোটরসাইকেল ভাড়ায় যাত্রী বহন করে মোটর সাইকেলের কিস্তির টাকা পরিশোধ করে তারপর নিজের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই রয়েছি।
চিরিরবন্দর ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইসুবপুর ইউপির বিন্যাকুড়ি বাজারে ভাড়ায় মোটর সাইকেলে করে যাত্রী বহন করে শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় শতাধিক পরিবার আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন। মোটরসাইকেল চালকরা তারা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়াও করাতে পারছেন। প্রতিদিন একজন মোটর সাইকেল চালক প্রায় ১ হাজার আয় করতে পারেন অনায়াসে। এক দিকে বেকারত্ব দূর হয়েছে অপরদিকে এলাকার মানুষও বেশ উপকার পাচ্ছেন মোটর সাইকেল সার্ভিসের জন্য।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক উপরের নিয়মে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।