দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের এক ধনকুবের বিল গেটস করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধাবনের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
গত কয়েকমাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বব্যাপী অন্ততপক্ষে ১২ লাখ মানুষ এবং মারা গেছে ৬০ হাজারের উপরে মানুষ। তবে করোনা চিকিৎসার ওষুধবা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সারাবিশ্বের মানুষ এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
পুরোবিশ্বের বিজ্ঞানিরা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। অনেকেই আশার আলো দেখালেও এখন পর্যন্ত কেও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি যে- সফলতা এসেছে। করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগার কথাও বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিল গেটস মোটেও সময় নষ্ট করতে চান না। মার্কিন টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, তার দাতব্য সংস্থার অর্থায়নে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে অন্তত ৭ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানি নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিল গেটস।
বিল গেটস আরও বলেছেন, আমরা চাইলেই কেবলমাত্র দু’জনকে বাছাই করতে পারতাম। তবে আমরা মোটেও সময় নষ্ট করতে চাই না। সে কারণে ৭ জনকেই কাজে লাগাচ্ছি। সেজন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতেও রাজি থাকার কথা জানান বিল গেটস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।