দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের আইকনিক জুটি বলা হয়ে থাকে সুপারস্টার শাহরুখ খান এবং ফ্যাশন ডিজাইনার গৌরী খান দম্পতিকে। তাঁদের পরিচয় বলিউডে শাহরুখের অভিষেকেরও আগেই, ১৯৮৪ সালে। ১৯৯১ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
শাহরুখ-গৌরীর বিয়ের তিন দশক হতে পার হতে চলেছে, তবে এখনও তাঁদের সম্পর্ক ভীষণভাবে শক্তিশালী। তবে শুরুর পথ তাদের জন্য মোটেও এতোটা মসৃণ ছিল না। দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় গৌরীর পরিবারকে এই বিয়েতে রাজি করাতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উঠে এসেছে।
অনেক আগেই ফরিদা জালালের টক শোতে পাঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে গৌরীকে বোরকা পরতে বলা এবং নাম পরিবর্তন করে আয়েশা রাখতে বলা নিয়ে বেশ চমকপ্রদ ঘটনাও প্রকাশ করেন শাহরুখ খান।
ঘটনাটি ঘটে তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, যেখানে গৌরীর আত্মীয়রা বরের ধর্ম নিয়ে কানাঘুষাও করছিলেন। ওই ঘটনা উল্লেখ করে বলিউড বাদশাহ বলেছেন, ‘আমার মনে রয়েছে, যখন তাঁদের পুরো পরিবারই, আদি ধ্যানধারণার মানুষেরা……
আমি তাঁদের সবাইকে সম্মান করি এবং তাঁদের বিশ্বাসকেও শ্রদ্ধা করি। তবে ওই পুরোনো ধাঁচের রিসেপশনে সবাই তখন বসেছিল। ১টা ১৫ মিনিটে আমি যখন সেখানে গিয়েছি, সবাই কানাঘুষা করছিল- হুম, ও একজন মুসলিম ছেলে। তবে সে কি মেয়ের নাম বদলে দেবে? গৌরী কী মুসলমান হয়ে যাবে?’
শাহরুখের রসাল কথার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত আছেন। সেদিনও শাহরুখ কিছুটা মজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘ঠিক আছে গৌরী, বোরকা পরে নাও এও চলো এখনই নামাজ পড়ি,’ বলেছিলেন শাহরুখ।
‘আমি গৌরীর ধর্ম পরিবর্তন করিয়েছি, এমনটি ভেবে পুরো পরিবার আমাদের দিকে বিস্ফোরক দৃষ্টিতে যেনো তাকাচ্ছিল। তখন আমি তাঁদের বললাম, সে এখন থেকে নিয়মিত বোরকা পরবে, কখনও ঘর থেকে বের হবে না এবং ওর নাম রাখা হবে আয়েশা।’
যদিও সবগুলো কথাই মজা করে বলেছিলেন শাহরুখ, তবে এর পরেই তিনি ধর্ম সম্পর্কে বেশ গভীর চিন্তাধারাও প্রকাশ করেন। ‘আমি অনেক মজা করেছি, তবে এর মধ্যে শিক্ষাটি হলো- প্রত্যেকেরই অবশ্যই ধর্মকে সম্মান করা উচিত, তবে তা কখনই ভালোবাসার মধ্যে সেটি টেনে আনা উচিত নয়। যা হোক, বিয়েটা সত্যিই দারুণ ছিল। আমাদের সম্পর্ক আরও যেনো মজবুত হচ্ছে,’ বলেছিলেন শাহরুখ।
শাহরুখ-গৌরী দম্পতির রয়েছে তিনটি সন্তান—আরিয়ান, সুহানা এবং আব্রাম খান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুহানা খানের লাখো ভক্তও তৈরি হয়েছে। বি-টাউনের অনুরাগীরা বলিউডে তাঁর অভিষেকের অপেক্ষাতে রয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।