দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে কাঁপছে পুরোবিশ্ব। তারপরেও দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে উত্তর কোরিয়া। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, মঙ্গলবার কোরীয় দ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে উত্তর কোরিয়া বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
কয়েক দফা উৎক্ষেপণ করা এসব ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মূলত স্বল্প মাত্রার বলে জানানো হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের দিকে কঠোরভাবে নজর রাখা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপের কারণে ভয়াবহ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তারমধ্যেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
গত ২৯ মার্চ দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। তার আগে গত ২১ মার্চ আরও দু’টি প্রজেক্টাইল মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলেও খবর রয়েছে।
ওই ক্ষেপণাস্ত্র দুটি স্বল্পমাত্রার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছিল বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ং প্রদেশ হতে পূর্ব সাগরের দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
কয়েক মাসের বিরতি দিয়ে গত মার্চের শুরু হতেই নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি এমন এক সময় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে যখন সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ করোনার আতঙ্কে লকডাউন অবস্থায় দিন পার করছে। যে কারণে দেশটির এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
এদিকে চীনের সীমান্তে অবস্থানের পরও দেশটিতে এ পর্যন্ত কারও করোনায় আক্রান্ত বা মৃত্যুর খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ নিয়েও যথেষ্ট গুঞ্জনও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, দেশটি করোনা নিয়ে তথ্য গোপনও করছে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, দেশটিতে ৫ শতাধিক মানুষকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ পর্যন্ত একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন ওই কর্মকর্তারা। উত্তর কোরিয়ার দাবি হলো, চীনের করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরই দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, বাণিজ্য স্থগিত করা ও লোকজনকে ৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য তাদের দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও শূন্যই রয়ে গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English