দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলা হয় বিয়ে হচ্ছে দিল্লি কা লাড্ডু। যেভি খায়েগা সেও পস্তায় আবার যে খাইনি সেও পস্তায়। তবে মাঝে মধ্যে পস্তানোতো দূরে থাক যেনো ভাগ্য বদলে যায়। যেমন ঘটেছে এক চীনা যুবতীর!
শুধু বিয়েই নয়, মাঝে মধ্যে বিচ্ছেদও বিপুল সম্পদের মালিক বানিয়ে দেয়। এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে চীনে। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে বিশ্বের মহিলা ধনকুবেরদের তালিকায় নতুন এক নাম উঠে এলো, ইউয়ান লিপিং। তিনি এখন এশিয়ার অন্যতম ধনী একজন মহিলা!
ইউয়ানের সাবেক স্বামী হলেন দু ওয়েইমেইন চীনের শিল্পপতি। তিনি হলেন শেনঝেন কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের শর্ত হিসেবে তিনি তাঁর প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থার ১৬১.৩ মিলিয়ন শেয়ার দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী ইউয়ান লিপিংকে।
জানা গেছে, গত সোমবার শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত এই স্টকের আর্থিক মূল্য ছিল ৩২০ কোটি ডলারের থেকেও বেশি। কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের শেয়ার গত কয়েক মাস ধরেই চলছে ঊর্ধ্বমুখী। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয় যে, তারা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করার পরিকল্পনা করছেন। তারপরেই বাজারে তাদের শেয়ারের চাহিদা হু হু করে বেড়ে যেতে থাকে।
তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বিচ্ছেদ ঘোষণার পরে শেয়ারবাজারে কিছুটা ধাক্কা খায় এই সংস্থাটি। প্রভাব পড়েছে দু ওয়েইমেইনের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতেও। ৬৫০ কোটি ডলার থেকে তা নেমে গিয়েছে অর্ধেকের কম ৩১০ কোটি ডলারে।
কানাডার নাগরিক ইউয়ান লিপিং এখন চীনের শেনঝেন প্রদেশে বসবাস করছেন। তিনি ২০১১ হতে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের ডিরেক্টরও ছিলেন। বর্তমানে ইউয়ান লিপিং অন্য একটি সংস্থার ভাইস জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন।
এশিয়ার অন্যতম ধনী মহিলা ৪৯ বছর বয়সি ইউয়ান লিপিং বেজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করেছেন।
অপরদিকে ৫৬ বছর বয়সি দু ওয়েইমেইনের জন্ম চীনের জিয়াংঝি প্রদেশের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে। কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়ার পর ১৯৮৭ সালে তিনি একটি ক্লিনিকে চাকরি করা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি একটি বায়োটেক সংস্থার সেলস ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পান। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ২০০৯ সালে ‘মিনহাই’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেন তিনি নিজেই।
ফোর্বস পত্রিকার সাম্প্রতিক তালিকা অনুযায়ী বিচ্ছেদের পূর্বে দু ওয়েইমেইন বিশ্বের ৩২০ নম্বর ধনকুবের ছিলেন।
বিচ্ছেদের কারণে সম্পদশালী শুধু ইউয়ান লিপিংই প্রথম মহিলা নন, ইতিপূর্বে ২০১২ সালে চীনের ধনীতম মহিলা ছিলেন উ ইউজুন। তিনিও বিবাহবিচ্ছেদের সময় তার সাবেক স্বামী কাই কুই-কে থেকে ২৩০ কোটি ডলারের সম্পদ পেয়েছিলেন।
এছাড়াও চীনের অনলাইন গেমিং সংস্থার মালিক ধনকুবের ঝোউ ইয়াহুইকেও তার সাবেক স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে দিতে হয়েছিল ১১০ কোটি ডলার অর্থ।
জীবনে বিচ্ছেদ অনেক সময়েই মূল্যবান হয়ে দেখা দেয় উপরোক্ত ঘটনাগুলো তারই প্রমাণ বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পপতি শে তাই ওন-এর স্ত্রী বিচ্ছেদের সময় তার স্বামীর সংস্থার ৪২.৩ শতাংশ শেয়ার লাভ করেন। যার আর্থিক মূল্য ছিল ১২০ কোটি ডলার।
তবে এ পর্যন্ত বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদের ইতিহাসে মহার্ঘতম হল জেফ এবং ম্যাকেঞ্জি বেজোসের বিচ্ছেদ। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বিচ্ছেদের শর্তস্বরূপ সাবেক স্ত্রীকে অনলাইন রিটেলারের ৪ শতাংশ দেন। যে কারণে ম্যাকেঞ্জি বেজোস বর্তমানে হলেন বিশ্বের চতুর্থতম ধনী মহিলা!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।