দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব সামান্য ব্যক্তিও অনেক সময় অনেক বড় কিছু করে ফেলেন। যেমন করেছেন সামান্য সামান্য ময়লা সংগ্রহকারী। তার সংগ্রহ ২৫ হাজার বইয়ের লাইব্রেরি!
কলম্বিয়ার হোসে আলবার্তো গুতেরেস নামে ওই ব্যক্তি পেশায় একজন আবর্জনা সংগ্রহকারী। এই কাজের মধ্য দিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল এক বইয়ের লাইব্রেরি। ২৫ হাজারের মতো বই স্থান পেয়েছে তার এই লাইব্রেরিতে। শুধুমাত্র তাই নয়, ৪৫০টিরও অধিক লাইব্রেরিতে তিনি বইও দিয়েছেন!
একজন আবর্জনা সংগ্রহকারী কীভাবে এতোবড় সংগ্রহশালা গড়ে তুললেন? সেই প্রশ্ন এসে যায়। কারণ তিনি তো বিত্তবান নন, পৈতৃকভাবে সম্পদশালীও নন, পেশায় বেতনও পান খুব সামান্য। তবে বইয়ের প্রতি তাঁর ছিল অগাধ ভালোবাসা। যখনই ময়লার ভেতর বই দেখতেন, তুলে নিতে ভুলতেন না তিনি। বিখ্যাত লেখক লিও তলস্তয়ের আন্না কারেনিনার মতো বইও খুঁজে পেয়েছেন ময়লার মধ্যেই!
বইয়ের প্রতি মানুষের এমন অবহেলা দেখে ভীষণভাবে ব্যথিত হতেন গুতেরেস। তিনি স্বপ্ন দেখলেন লাইব্রেরি গড়ার। তাই ময়লা হতে কুড়িয়ে পাওয়া বই এক এক করে জমাতে থাকলেন তিনি। তার সহকর্মীরাও যখনই ময়লার মধ্যে বই পেতেন, তাও দিয়ে যেতেন তাঁকেই। এভাবেই বিশাল এক লাইব্রেরি গড়ে তুললেন গুতেরেস।
১৯৯৭ সালের কথা। তখন কলম্বিয়াতে একজন আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন গুতেরেস। এখনও তিনি এই একই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন যে, উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান যা রেখে যেতে পারি তা হলো এই বই বা শিক্ষা। আর এই শিক্ষার অন্যতম একটি মাধ্যমই হলো বই।
কলম্বিয়ার বোগাটায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুতেরেস বর্তমানে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। সংগৃহীত বইগুলো দিয়ে তিনি একটি কমিউনিটি লাইব্রেরিও গড়ে তুলেছেন। ৫৫ বছর বয়সী গুতেরেস সংগৃহীত বই তিনি দান করেন বিভিন্ন লাইব্রেরি, এমনকি স্কুলেও। এ পর্যন্ত ২৩৫টি স্কুলে বই দান করেছেন তিনি। গুতেরেস স্বপ্ন দেখেন একদিন গোটা কলম্বিয়াকে বই দিয়ে তিনি পরিপূর্ণ করবেন। গুতেরেসের সেই স্বপ্ন একদিন সত্যিই পূরণ হবে- সেই প্রত্যাশা সকলের।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।