দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। একইসঙ্গে ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বছরে তার আয় এক কোটি টাকার ওপরে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় একইসঙ্গে দুই ডজনের বেশি স্কুলে শিক্ষকতা করে কোটি কোটি টাকা বেতন নিলেও দীর্ঘদিনই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সম্প্রতি এই স্কুল শিক্ষকের এমন নাটকীয় উপার্জনের গল্প সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় প্রশাসন।
এমন কাণ্ড করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক অনামিকা শুক্লা। দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের সাধারণ শিক্ষা দফতরের অধীনে তিনি একইসঙ্গে ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষক হিসাবে তিনি গত এক বছরে প্রায় এক কোটি টাকা বেতনও পেয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, উত্তরপ্রদেশের শিক্ষকদের জন্য ডিজিটাল ডেটাবেস তৈরির সময় প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। তারপর ওই নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হিসাবে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে কাজ করলেও, তিনি আরও ২৪টি স্কুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আমেথি, আম্বেদকরনগর, রায়েবরেলী, প্রয়াগরাজ, আলিগড়সহ আরও কয়েকটি জেলার স্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন একই সঙ্গে।
এসব স্কুলের শিক্ষক হিসাবে ১৩ মাসে প্রায় এক কোটি টাকা বেতন তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি সেখানকার শিক্ষা দফতর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিজিট্যাল ডেটাবেস তৈরি করেছে। এটি করতে গিয়ে দেখা যায় যে, অনামিকা শুক্লা নামের ওই শিক্ষিকা ২৫টি ভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
পরে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রদেশের শিক্ষা দফতর। বিভিন্ন স্কুলেও তার সম্পর্কে জানানো হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নথিপত্রে দেখা যায় যে, ওই শিক্ষিকা অনামিকার বাড়ি মৈনপুরীতে। ফেব্রুয়ারিতে তাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছে রায়েবরেলীর একটি স্কুলে। তেবে এমন কুকীর্তির কথা সামনে আসার পর থেকে আত্মগোপন করেন ওই শিক্ষিকা অনামিকা।
উত্তরপ্রদেশের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক বিজয় কিরণ আনন্দ বলেছেন, লাপাত্তা ওই শিক্ষিকার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রেরণা নামের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করা লাগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রযুক্তি এড়িয়ে কীভাবে এতোগুলো স্কুলে অনামিকা হাজিরা দিতেন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদী বলেছেন যে, ‘এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।