দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশে ইন্টারনেট ঝুঁকিতে পড়েছে ১ কোটি ২০ লাখ শিশু-কিশোর। সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ গত ১৮ মার্চ হতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। লকডাউনে ঘরবন্দী দেশের প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর (প্লে হতে দশম শ্রেণী)। সরকার স্কুল-কলেজের নির্দেশনা অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস করার কারণে ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশু-কিশোররা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছে। সেই সঙ্গে ঘরে আটকে রাখলেও আমরা যে ইন্টারনেট কোমলমতি শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দিচ্ছি তা কি আদৌও নিরাপদ? এখনও এই মাধ্যম শিশু-কিশোরদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নয়। সেই কারণে গত ৬ মে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) খুব কম বয়সের শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছে।
তারা বলেছেন যে, বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই কোমল মতিরা লেখাপড়া, খেলাধুলা, ভিডিও গেমস দেখতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এতে করে তারা সাইবার ঝুঁকিতে পড়তে চলেছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও ডিভাইস স্বল্পতার কারণে যদি ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটের বাইরে থেকে থাকে তারপরেও প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ শিশুর ইন্টারনেটের অশুভ প্রভাব তাদের উপরেই পড়বে। সেই সঙ্গে অতিমাত্রায় ব্যবহারের ইন্টারনেট আসক্তির বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তার বিষয়টি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই এবং বিষয়টি নিয়ে কোনো নীতিমালাও তৈরি হয়নি। ইতিমধ্যেই আইটিইউ কিছু সুপারিশমালা তৈরি করতে যাচ্ছে। আমরা সকলেই জানি ইন্টারনেটের যে বিষয়ে আমরা জানতে চাই তার পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত বিষয়গুলিও উঠে আসবে। যে কারণে কোমলমতি শিশুরা যা জানার কথা প্রাপ্ত বয়সে তা জেনে যাচ্ছে মেধা বিকাশের আগেই। সেই সঙ্গে তারা সাইবার ঝুঁকিতে নিজে ও তার পরিবারকেও ফেলতে পারে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকার জন্য আমরা অনুরোধ করছি ও সরকারকে দ্রুত ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরালো ভাবে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।