দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত রবিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় অবস্থিত নিজের ফ্ল্যাটে বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই অভিনেতার শয়ন কক্ষ থেকে পাওয়া যায় অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ এবং প্রেসক্রিপশনও। যার ভিত্তিতে মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিক ধারণা, অবসাদ ও হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানিয়েছেন বলিউডের প্রায় সকল তারকা। শোক জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমনকি, বাদ যায়নি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও। এছাড়াও উদীয়মান এই বলিউড তারকা সুশান্তের অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা নাড়া দিয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানও।
বিভিন্ন সাংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট হতে সুশান্তের মৃত্যুর খবর জানার পর রবিবার রাতেই নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন জয়া। সেখানে তিনি অবসাদ ও হতাশায় ভোগা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকেই আহ্বান জা্নান। অভিনেত্রী জয়া আহসানের সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘প্লিজ, এই দুঃসময় আপনার প্রিয়জনের পাশে দাঁড়ান, কাওকেই একা ফিল করতে দেবেন না। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা এটাই হয়তো বলে দিয়ে গেছে। একজন শিল্পীর চলে যাওয়া সত্যিই মেনে নিতে খুব কষ্টই হয়। তার চলে যাবার প্রকৃত কারণ হয়তো পরে জানা যাবে তবে মানসিক অবসাদ সত্যিই এই যুগের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা ও এর সঙ্গে লড়াই করাটাও।’
‘নাম, যশ, খ্যাতি হলেই সেই মানুষটা জীবনে সুখী এই ধারণাটা সত্যিই ভুল। ২০১৫ সালে WHO প্রকাশিত তথ্যে জানা যাচ্ছে যে, প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ ডিপ্রেশনের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকেন। তাই কেও মনের কথা বলতে চাইলে অবশ্যই তাকে সময় দিন। কেও মনোবিদের কাছে গেলে ‘তুই পাগলের ডাক্তার দেখাস’ এই ধরণের কথা বলে তার মনোবল কখনও ভেঙে দেবেন না বরং তাকে আরও উৎসাহিত করুন।’
‘আমরা প্রত্যেকেই হয়তো এক একটা সমস্যার মধ্যে থাকি। ঘটনাক্রমে সেগুলো হয়তো না চাইতেও ঘটে যায় অনেক সময়। সেগুলো নিজের মধ্যেই হয়তো চেপে রাখি, ভাবি এর থেকে বেরোনোর হয়তো আর কোনো সমাধানই নেই। এগুলোই এক সময় আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দেয়। এগুলো বরং আমরা কাছের মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। অন্তত তাতে কিছুটা হালকা হওয়াই যায়। তখন লড়াই করার রসদ খুঁজে পাওয়া যায়।’
‘কারও মন খারাপ হয়েছে শুনলে প্লিজ তাকে আপনি একা ছেড়ে দেবেন না। যতোটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করুন। অন্তত এই কঠিন সময় তো বটেই। সত্যিই মানসিক অবসাদকে এবার সিরিয়াসলি নেবার সময় এসে গেছে। যতোই কথা হোক। আমরাও সবাই সবার পাশে দাঁড়িয়ে একে অন্যের যেনো মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করি। আর যাই হোক না কেনো, আমরা আমাদের প্রিয়জনকে মানসিক অবসাদে চলে যেতে দেবো না কখনও। এটাই হোক অঙ্গীকার।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।