দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেড়েই চলছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। তীব্র ছোঁয়াচে এই রোগ হতে রক্ষা পেতে ঘরে থাকাটাই নিরাপদ। তবে এমন অবস্থাতেও স্বল্প পরিসরে করা হচ্ছে নাটকের শুটিং।
দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকের শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। তবে এরপরেও কিছু সংখ্যক তারকা ঝুঁকি নিয়ে শুটিং সেটে ফিরলেও বেশিভাগ অভিনেতা অভিনেত্রী নিজেকে রেখেছেন ঘরবন্দি। নিজেদের নিরাপদ রাখতে করোনার দাপট কমার অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই।
তবে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিতে দেখা গেলো ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়াকে। গত ৯ জুন হতে ঝুঁকি নিয়েই কাজ শুরু করেছেন টয়া। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্তমানে নিয়মিত শুটিং করছেন বলে একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
২৪ জুন বিক্রমপুরে এস কে শুভ পরিচালিত ‘পারমিশন’ নামে একটি নাটকের শুটিং করেন টয়া। ঈদুল আযহার এই নাটকটিতে স্বামী অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওনের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করছেন টয়া।
শুটিং সম্পর্কে টয়া বলেন, যতোটা না অর্থের জন্য কাজ করছি, তার চেয়ে বেশি দায়িত্ববোধ হতে ঝুঁকি জেনেও শুটিং করছি। একটি শুটিং ইউনিটের সঙ্গে পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, মেকআপ ম্যান, প্রোডাকশন বয়সহ প্রায় ১০ হতে ১৫ জন মানুষের উপার্জনের সঙ্গে জড়িত থাকে। শিল্পীর অভাবে অনেক নির্মাতাই শুটিং করতে পারছেন না। যে কারণে এই মানুষগুলোর আয়ও বন্ধ হয়ে থাকছে। তাদের পরিবার সদস্যরাও মহা সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি চিন্তা করে আমি ও আমার স্বামী পরামর্শ করেই শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিয়মিত কাজ করছি। আমাদের একেবারেই উপার্জনের প্রয়োজন নেই, সেটা অবশ্র বলবো না। দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের শিল্পীদের প্রচুর অর্থ জমিয়ে রাখারও কোনো সুযোগ নেই। নিয়মিত কাজ করে যে আয় হয়ে থাকে, তা দিয়েই আমাদের চলতে হয় সব সময়। তাই দুইটা বিষয়ই মাথায় রেখেই শুটিং করতে হচ্ছে আমাদের।
সম্প্রতি টয়া অংশ নিয়েছেন সরদার রোকন পরিচালিত ‘বেসামাল’ নামে একটি নাটকে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন ইরফান সাজ্জাদ।
করোনার কারণে শুটিং বন্ধ হাওয়ার পূর্বে মেহেদি হাসানের ওয়েব সিরিজ ‘ইনফিনিটি’তে পুলিশের বিশেষ ফোর্সের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এই দুইটি কাজ আসন্ন কোরবানীর ঈদে প্রচারের কথা রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।