দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘টাইটানিক’ -এর কথা অনেকের জানা। ছবির কারণে টাইটানিক জাহাজের গল্প ও বিশালতার কথা সবার জানা। সেই সময় টাইটানিকই ছিল পৃথিবীর একমাত্র বড় জাহাজ। তবে এবার খোঁজ মিললো টাইটানিকের চেয়েও বিশাল বড় এক জাহাজের!
এখন দিন বদলেছে, আধুনিক প্রযুক্তিও এসেছে। এখন পৃথিবীতে টাইটানিকের চেয়েও বড় জাহাজের কোনো অভাব নেই। তবে টাইটানিকের চেয়েও ২০ গুণ বড় এক জাহাজের গল্প রয়েছে আজ! এটা সত্যিই এক বাস্তবতা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই জাহাজটির নাম হয়তো আপনারা আগেও শুনেছেন। জাহাজটির নাম হলো ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। এই জাহাজটি টাইটানিকের চেয়েও সাইজে ২০ গুণ বড়!
একসময় যেটি ছিল মানুষের কাছে শুধুই কল্পনা, আজ সেটিই যেনো এক বাস্তব। জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজকে বর্তমানে বলা হচ্ছে ‘ভাসমান মহানগরী’। জাহাজটি এতোই বড়, যার ভেতর আধুনিকতার কোনোই কমতি রাখা হয়নি।
বিশ্বে এই পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় ও ভারী জাহাজ হলো এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর হতে চোখ ধাঁধানো ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ এর প্রথম উদ্বোধনী যাত্রা হয়েছিলো।
‘হারমনি অব দ্য সিজ’ যেনো সমুদ্রের মধ্যে আরেকটি পৃথিবী। ভূমধ্যসাগর কিংবা ক্যারিবিয়ানে ছুটিছাটায় সবচেয়ে বেশি বিনোদন দেওয়ার জন্য জাহাজটিতে আয়োজনের কোনোই কমতি নেই। এক হাজার ১৮৭ ফুট লম্বা এবং ২৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি প্রায় ৭ হাজার জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম।
এই জাহাজটি নির্মাণে কাজ করেন মোট ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ হলো এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। এটি নির্মাণে ব্যয় করা হয় ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এই জাহাজের প্রথম বিশেষত্বই হলো যাত্রী ধারণক্ষমতা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজই হলো এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস এ৩৮০-তে সিটের সংখ্যা ৫২৫টি। এর চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে সক্ষম এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’।
দ্রুততার দিক থেকে এই জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ জাহাজে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। যার মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২ হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমান সময়ের যে কোনো জাহাজের চেয়েও অনেক বেশি। এটি এতো বড় যে যাত্রীরা যাতে করে হারিয়ে না যান, সে জন্যই তাদের জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমও ব্যবহার করতে হয়।
এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ জাহাজটির দুটি তলা নিয়ে বিস্তৃত জাহাজের সিগনেচার রুমটি ‘রয়েল লফট স্যুট’ নামেই পরিচিত। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলাতেই রয়েছে ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের লিভিং স্পেস। অপরদিকে ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের দ্বিতীয় তলাটি শহরের যে কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেকগুণ বড়।
এখানে রয়েছে সুইমিং পুল, বার, প্লেইং রুম, রয়েছে রেস্টুরেন্ট, টি রুম, নানা রঙের বেশ অনেকগুলো ফোয়ারা, বাচ্চাদের খেলার অনেক ইভেন্টও। আরও রয়েছে বিশাল বড় বাথটাব, ফুট কোর্ট ইত্যাদি। কোনো কিছুরই বাদ নেই এই ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ জাহাজটিতে। এই জাহাজে ভ্রমণ করতে যাওয়া অর্থ হলো দুনিয়ার এক বিশাল প্রমদতরীতে নিজেকে উৎসর্গ করা। টাইটানিক ছিলো শত বছর পূর্বের একটি বিশাল জাহাজ। আর ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ জাহাজে রয়েছে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা, যা দেখে আপনার চোখ সত্যিই কপালে উঠবে!
ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন এই জাহাজের মধ্যে কি আছে আর কি নেই!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।