দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সরকারি অনুদানে নির্মিত মুশফিকুর রহমান গুলজারের `টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন সাবেক দুই মন্ত্রী আসাদুজ্জামান ও তারানা হালিম।
আজকের কথা নয়, সেই বিটিভিতে ১৯৯৪ সালে প্রচার হয়েছিলো ‘হিমু’ নাটক। সেখানে রুপা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তারানা হালিম। তার বিপরীতে হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট জনপ্রিয় হিমু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। সেই নাটক ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।
অনেক নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন সাবেক দুই মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং তারানা হালিম। তবে দুজনকে কখনও একসঙ্গে কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি।
এবার প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমায় জুটি বেঁধে হাজির হতে চলেছেন অভিনয়ের জনপ্রিয় এই দুই তারকা। সরকারি অনুদানে নির্মিত মুশফিকুর রহমান গুলজারের `টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর বাবা এবং মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন আসাদুজ্জামান নূর ও তারানা হালিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা গুলজার নিজেই। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, `প্রথম থেকেই এই দুটি চরিত্রে আমার সেরা পছন্দ প্রিয় এই দুই অভিনয়শিল্পীই। তাদের নাম প্রস্তাব করেই সরকারি অনুদানের আবেদনও করেছিলাম। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
খুব শীঘ্রই তাদের সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে বসবো। বিষয়টি চূড়ান্ত করবো। টেলিভিশনের পর্দায় একসময় খুবই জনপ্রিয় এবং সফল জুটি ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর এবং তারানা হালিম। আশা করছি তাদের নিয়ে আমার সিনেমার যাত্রাও শুভ হবে।`
গুলজার আরও বলেন, সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকলে কোরবানি ঈদের পর এই ছবি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামতে পারবো। এর আগে শেষ করা হবে চিত্রনাট্য গুছিয়ে আনার কাজও। সেই সঙ্গে শিল্পী বাছাইও চূড়ান্ত করা হবে।
এই ছবিতে বঙ্গবন্ধু চরিত্রে দেখা যাবে নতুন কোনো মুখকে। এই চলচ্চিত্রে নাট্যজন মামুনুর রশীদকে দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। ধারণা করা হচ্ছে যে, তাকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু ও বাংলাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রে দেখা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর নির্মিত হবে টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা নামে এই চলচ্চিত্রটি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এই ছবির জন্য চলতি অর্থবছর সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদানও পাবেন বলে জানা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।