দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ। তবে অনেক স্কুলই অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। ছেলের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে সামর্থ না থাকায় শেষ পর্যন্ত তার একমাত্র সম্বল গরুটি বিক্রি করলেন এক বাবা!
সন্তানদের বাবা হওয়ার অর্থই হলো অনেক দায়িত্ব। তাই যেভাবেই হোক সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে! শেষ সম্বল বলতে ঘরে ছিল পোষা গরুটি। তাই ছেলের অনলাইন ক্লাশের জন্য নিজের শেষ সম্বল বিক্রি করে স্মার্টফোন কিনে দিলেন জনৈক বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের জ্বালামুখীর গুমার নামক গ্রামে। কারণ তার কাছে গরু ছাড়া বিক্রি করার মতো আর কিছুই ছিল না।
কুলদীপ কুমার নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, তার আর অন্য কোনো উপায় ছিল না। তিনি যেভাবেই হোক সন্তানদের পড়াশোনা শেখাতে চেয়েছিলেন।
মাত্র একটা স্মার্টফোনের জন্য তিনি তাদের পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ করে দিতেও রাজি হননি। তাই নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে সন্তানদের স্মার্টফোন কিনে দিয়েছেন।
তবে জ্বালামুখীর বিধায়ক রমেশ ধাওয়ালা সংবাদ মাধ্যমের হতে কুলদীপের দুরাবস্থা জানার পর এগিয়ে এসেছেন। আর্থিক সাহায্য করার জন্য বিডিও ও এসডিএমকে নির্দেশও দিয়েছেন।
ভারতের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, জ্বালামুখীর গুমার গ্রামেই কুলদীপ কুমারের বসবাস। সম্বল বলতে ছিল ওই একমাত্র গরুটাই। দুধ বিক্রি করেই হতো তার রোজগার।
তবে তার থেকেও জরুরি সন্তানদের লেখাপড়া। অনলাইন লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন। অনেক চেষ্টা করেও সেই টাকাটা জোগাড় করতে পারেননি তিনি। তাই দুই সন্তান অন্নু ও দীপ্পুর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ৬ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দিলেন তার গরুটি।
কুলদীপের দুই সন্তানের মধ্যে অন্নু পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে ও দিপ্পু দ্বিতীয় শ্রেণীতে। স্কুল থেকে বারবার স্মার্টফোন কিনতে বলা হচ্ছিল। কুলদীপ জানিয়েছিলেন যে, স্মার্টফোন কেনার মতো কোনো অর্থ নেই তার কাছে। ৫০০ রুপিও নেই তার কাছে।
তবে অনলাইন ক্লাস করার জন্য ফোন ছাড়া উপায়ও তো নেই। টাকা জোগাড়ের জন্য চেষ্টাও কম করেননি কুলদীপ। তবে কেওই সাহায্য করেনি তাকে।
ঋণের আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত একমাত্র সম্বল গরু বিক্রি করেই জোগাড় করেছেন স্মার্টফোন কেনার ওই অর্থ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।