দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আয়া সোফিয়ার নাম এখন সবাই জানেন। এতোদিন বিখ্যাত যাদু ঘর থাকলেও গত শুক্রবার এটি পূর্ণাঙ্গ মসজিদে রূপ নিয়েছে। সেখানকার বিখ্যাত বিড়াল হলো গ্লি।
দীর্ঘ প্রায় ৮৬ বছর পর জাদুঘর আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেছে তুরস্ক সরকার। সম্প্রতি দেশটির প্রশাসনিক আদালতের এক রায়ের পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই ঘোষণা দেন।
গত ১১ জুলাই, শুক্রবার দীর্ঘ ৯ দশক পর আয়া সোফিয়ায় পবিত্র আজানের ধ্বনি শুনেছে পুরো মুসলিম জাহান। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছে জুমার নামাজের সেই দৃশ্যটি।
তবে আজ কথা হবে তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপনা আয়া সোফিয়ার সেই গ্লি নামের একটি বিড়ালকে নিয়েই। গ্লি- অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিড়াল। সে নানা কারণে বিখ্যাত হয়েছে। তবে সম্প্রতি আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের পর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যমে উঠে আসে গ্লি প্রসঙ্গটি।
কী ঘটবে গ্লির ভাগ্যে?
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তুরস্কের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আয়া সোফিয়াতেই থাকবে ওই বিড়ালটি। আয়া সোফিয়া মিউজিয়াম থাকার সময় দর্শনার্থীদের প্রিয় হয়ে উঠে ধূসর রঙের শরীর এবং সবুজ জ্বলজ্বলে চোখের এই বিড়াল গ্লি।
২০০৯ সালে এক সফরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বিড়ালটির সঙ্গে ছবি তোলেন। তারপরে গ্লি আরও বেশি বিখ্যাত হয়ে উঠে।
এই বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, গ্লিসহ যেসব বিড়াল এ জায়গাটিতে রয়েছে, তারা এখানেই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিড়ালটি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে। এখানে আরও অনেক বিড়াল রয়েছে, তবে সেগুলো এতোটা বিখ্যাত নয়। এই বিড়ালটি তো থাকছেই, অন্যান্য বিড়ালগুলোও আমাদের মসজিদেই থাকতে পারবে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গ্লি। তার নামে ইনস্টাগ্রামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। উমুত বাহচেচির নামে এক ব্যক্তি চার বছর ধরে সেই অ্যাকাউন্টটি চালিয়ে আসছেন।
ইনস্টাগ্রামে গ্লির রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ফলোয়ার। অ্যাকাউন্টটিতে বিড়ালটির ছবি পোস্ট করা হয়ে থাকে। দর্শনার্থীরাও তাদের তোলা ছবি ট্যাগ করেন এই অ্যাকাউন্টে।
উমুত আরও বলেন, আমি যখনই আয়া সোফিয়ায় যেতাম তখনই দেখেছি গ্লিকে। সে মডেলের মতোই পোজ দিতো। মানুষ আমাকে লিখতো, গ্লি তোমাকে দেখতে আমি ইস্তানবুলে আসবো। তখন খুব ভালো লাগতো।
উল্লেখ্য যে, ১৯৩৪ সালের এক ডিক্রি অবৈধ ঘোষণা করা আয়া সোফিয়াকে এ বছর ১১ জুলাই আবারও মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেন আদালত। প্রশাসনিক আদালত হতে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গীর্জা।
তারপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে এটিকে মসজিদে পরিণত করেন বিজেতা সুলতান মাহমুদ ফাতিহ। আবার ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে তখন জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।