দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে প্রতিদিন কতোনা বিচিত্র ঘটনা ঘটে! আমরা হয়তো অনেক ঘটনা জানতেও পারি না। তবে এবার জানা গেলো ১০৩ বছর বয়সেও ট্যাটু আঁকার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে এক মহিলার!
অনেকের জীবনে অপূর্ণ থেকে যায় তার দীর্ঘদিনের পালিত-পালিত স্বপ্ন কিংবা ইচ্ছা। তবে ১০৩ বছর বয়সে এসেও এক মহিলা তার ছোট্ট অথচ প্রিয় ইচ্ছা পূরণ করতে পেরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে তার সেই কাহিনী বর্তমানে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
আমেরিকার মিশিগানের বাসিন্দা ডরোথি পোলক, গত জুন মাসে ১০৩ বছরের জন্মদিন পার করেছেন। তবে সেদিন জন্মদিনের উৎসব পালন করতে পারেননি তিনি। কারণ হলো করোনা আক্রান্ত হয়ে মিশিগানের মাস্কেগনের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানকার নার্সরা জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন সবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন।
সম্প্রতি করোনাকে হারিয়ে ডরোথি বাড়ি ফিরেছেন। মহামারীর হাত হতে বেঁচে যাওয়ায় এবার তিনি ভাবলেন দীর্ঘদিনের অপূর্ণ শখটি পূরণ করবেন। তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল, হাতে একটি পারমানেন্ট ট্যাটু আঁকবেন। তবে মনের কোণে এই ইচ্ছা লালিত-পালিত হতে থাকলেও কয়েক দশক ধরে তা পূরণ করার সুযোগই হয়নি তার। এখন তিনি ঠিক করলেন যে, সেই ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ করবেন। যেমন ভাবা ঠিক তেমন কাজ।
ডরোথির এক নাতনি টেরেসা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, দাদীকে তারা এমন মনমরা হয়ে থাকতে আর কখনও তারা দেখেননি। নার্সিংহোম হতে ফিরেও তিনি যেনো স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। তাই তারা দাদীর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা পূরণের ব্যবস্থা নিবেন বলেই ঠিক করলেন। সেই মতো দাদী ডরোথিকে এক ট্যাটু স্টুডিওতে নিয়ে গেলেন। সেখানে একটি সবুজ রঙের ব্যাঙ আঁকা হলো তাঁর হাতে।
ট্যাটু নিয়ে ডরোথির সেই খুশির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তারই নাতনি। সেখানে বেশ উচ্ছ্বসিতও ছিলেন তিনি। হাতে এমন একটা ট্যাটু করাতে পেরে খুশির কথা তিনি নিজেও জানিয়েছেন সবাইকে।
ডরোথি জানিয়েছেন যে, তিনি ব্যাঙ খুব পছন্দ করেন। অনেক দিন আগে তার এক নাতি এমন একটা ট্যাটু করিয়ে দিতেও চেয়েছিল। তবে তখন আর সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এতোদিনে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এখন তিনি খুব খুশি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।