দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণসহ যে কোনো কারণে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করতে হলে উভয় দেশের পাসপোর্টযাত্রীদের ৩টি নতুন শর্ত এবার থেকে মানতে হবে। তবেই উভয় দেশে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারবেন পাসপোর্টযাত্রীরা।
বাংলাদেশীরা চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য ভারতে যেমন যান তেমনি ভারতীয়রাও ব্যবসা, ভ্রমণ ও আত্মীয়স্বজনের দেখতে বাংলাদেশে আসেন।
ভারত ও বাংলাদেশ, দুই বন্ধু দেশে নাগরিকদের যাতায়াতে তেমন কোনো বাধাই ছিল না। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি আলাদা। করোনার কারণে তাই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত অবাধ থাকলেও কয়েকটি শর্ত নাগরিকদের মানতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের তরফ হতে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণ যে কোনো কারণে উভয় দেশে যেতে হলে কয়েকটি শর্ত এবার থেকে সকলকে মানতে হবে। শুক্রবার সকালে শর্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মহাসিন কবির।
নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে যে, বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট এবং ২০২০ সালের ১ জুলাই ইস্যুকৃত ভিসা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় হাই-কমিশনের অনুমতিপত্রও লাগবে। সেইসঙ্গে যাত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট। আর সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে এবং ভারতে প্রবেশ করতে হবে। তাহলেই ভারতে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন যে কোনো বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী।
ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীদেরও বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হালনাগাদ পাসপোর্ট, ভিসার পাশাপাশি ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র এবং কোভিট-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সেই সার্টিফিকেটও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে এবং তা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হবে। এরপরই বাংলাদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা।
করোনা পরিস্থিতির তারণে অনেক ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশে। লকডাউনের জেরে দেশে ফিরতে পারেননি তারা। অনেকের আকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও রয়েছে নতুন কিছু শর্ত।
শর্তের মধ্যে হলো বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা নবায়ন (জরিমানা ব্যতীত ভিসা ও ফি প্রদান করতে হবে) ভারতীয় হাই কমিশনের অনুমতি পত্র এবং কোভিট-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে এবং ভারতে প্রবেশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে দুই দেশের সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর মধ্যে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে গত ১৩ মার্চ হতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারত প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভারতে আটকে থাকা কয়েক হাজার বাংলাদেশী স্থল এবং আকাশ পথে ফিরে আসেন। অনেক ভারতীয়ও সেই সময় ফিরে যায় স্থল ও আকাশ পথে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English