দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপান এবার স্বচ্ছ গ্লাসের পাবলিক টয়লেট বসাচ্ছে। দেশটির রাজধানী টোকিওর সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় ইতিমধ্যেই এই ধরনের দুটি টয়লেট বসানো হয়েছে।
এই টয়লেটগুলো এতোটাই স্বচ্চ যে বাইরে থেকে ভেতরের সবকিছুই দেখা যায়। অনেকেই ভাবছেন তাহলে সেখানে গোপন কাজটি মানুষ করবেন কিভাবে? তবে কেউ ভেতরে প্রবেশ করলেই এর দেওয়ালগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অস্পষ্ট এবং ঝাপসা হয়ে যায়। সে বের হওয়ার পর বাইরে থেকেই মানুষ দেখতে পারবেন টয়লেটটি পরিষ্কার নাকি নোংরা হয়ে রয়েছে।
নান্দনিক এবং একেবারেই আনকোরা ডিজাইনের এই টয়লেটগুলো শহরের নতুন এক আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পাবলিক টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণকে বাধ্য করতে এমন একটি যথার্থ কৌশল হবে বলে দাবি করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
সিএনএন এর এক খবরে বলা হয়, সারাবিশ্বেই পাবলিক টয়লেটগুলো সাধারণত ইট-কাঠ-পাথর দিয়েই তৈরি করা হয়। এসব টয়লেটের ভেতরটা হয় অন্ধকার এবং নোঙরা এমনকি কখনও কখনও বিপজ্জনকও বটে। সে কারণে টয়লেটে প্রবেশ করতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ।
জাপানও এমন সব সমস্যার বাইরে নয়। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই সম্প্রতি নতুন দুটি পাবলিক টয়লেট বসায় টোকিও শহর কর্তৃপক্ষ। সৃজনশীল প্রকল্পের অংশ হিসেবে স্বচ্ছ গ্লাসের এই টয়লেট দুটি টয়লেট সম্পর্কে মানুষের ধারণাই যেনো বদলে দিয়েছে।
প্রিজকার পুরস্কার পাওয়া স্থাপত্য এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শিগেরু বান আর্কিটেক্টসের ডিজাইন করা এই টয়লেট দুটি সুবিয়া শহরের দুটি ব্যস্ততম পার্ক ইয়োইয়োগি ফুকামাচি মিনি পার্ক এবং হারু-নো-ওগায়া কমিউনিটি পার্কে স্থাপন করা হয়। এতে পার্কে আগত মানুষের বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের দিকে গুরুত্বও দেওয়া হয়েছে।
‘স্মার্ট গ্লাস’র দেওয়াল দিয়ে তৈরি এই টয়লেটগুলোর আরেকটি দিক হলো, এগুলো উজ্জ্বল এবং রঙিন আলোয় সজ্জিত। প্রথমে কারও নজরে পড়লেই এর স্বচ্ছ গ্লাসের মধ্যদিয়ে টয়লেটের ভেতরের সবকিছুই দেখা যায়।
তবে কোনো ব্যবহারকারী একবার এর ভেতরে ঢুকলে এবং দরজা বন্ধ করে দিলে এর দেয়ালগুলো অটোমেটিকটিল অস্বচ্ছ এবং ঝাপসা হয়ে যায়। তখন বাইরে থেকে ভেতরের কিছুই আর দেখা যায় না।
টয়লেট দুটির ব্যাপারে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয় যে, দেওয়ালগুলো স্বচ্ছ গ্লাসের তৈরি হওয়ায় যে কেও এর ভেতরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভেতরে কেও আছে কিনা তা আগেই জানতে পারবেন।
রাতের বেলায় এর উজ্জ্বল এবং রঙিন আলো পুরো পার্কের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।’ ভবিষ্যতে জাপানের টয়লেটগুলো কেমন হবে এই দুটি টয়লেট তারই ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাসীর সামনে দেশটির প্রযুক্তিগত উন্নতির কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
মাত্র মাসখানেক আগে বসানো নতুন এই টয়লেটের ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাপানি জনগণ। টয়লেটটি ব্যবহারের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে টুইটারে দেশটির এক নাগরিক বলেছেন যে, ‘আমি খুব উদ্বিগ্ন। প্রবেশের পরপরই হঠাৎ যদি কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ তৈরি দেখা দেয়?’ আবার কেও বলছেন, ‘নতুন এই প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বেশ সময়ও লাগবে জনগণের।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।