দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এবার করোনা রোগে মৃতদের ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য!
আমেরিকা-ইউরোপের পর বর্তমানে করোনার এক ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। বিশ্বজুড়ে মানুষ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অবশ্য বেড়েছে। তবে তারপরও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, করোনাকে হারালেও আসলেই কি ‘সুস্থ’ হচ্ছেন আক্রান্তরা? সম্প্রতি একাধিক মৃত রোগীর দেহে ময়নাতদন্তে উঠে আসছে এক অন্যরকম ছবি এবং ভয়ংকর তথ্য।
দেখা গেছে যে, করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও দেহে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এই রোগের কারণে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানবদেহে করোনার আশ্রয়স্থল ফুসফুসে।
তাছাড়াও দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশে রক্তজমাট বাঁধার ঘটনাও চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। মোট ১০টি মরদেহে এই ময়নাতদন্তের পরীক্ষা করা হয়। তবে পরীক্ষার জন্য এই সংখ্যা নিতান্তই কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এই ধরনের পরীক্ষা এটিই প্রথম।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকরা এই পরীক্ষাটি করেছেন। সেখানে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস দেহে নির্মূল হওয়ার পরও ফুসফুসে প্রদাহ বা রক্তজালে ফাটল তৈরি করছে। শুধু ফুসফুসই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের কিডনিও।
করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও ৯ জনের দেহে থ্রম্বোসিস রোগ (রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার রোগ) দেখা গেছে এবং তা হৃদপিন্ড, ফুসফুস ও কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেও।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই নয়া তথ্য কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করবে। চিকিৎসা চলাকালীন কোন কোন ওষুধ দিলে রক্ত জমাট বাঁধাকে আটকানো যাবে তা বোঝাও সম্ভব হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর খবরে বলা হয়, ২২ হতে ৯৭ বছরের রোগী যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের দেহে এই ময়নাতদন্ত করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।