দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিয়েতনামের মিকং ডেল্টা এলাকার বাসিন্দা এনগুয়েন ভান চিয়েন। তার বয়স ৯২ বছর। তিনি বিগত ৮০ বছর যাবত চুল কাটেন না। তিনি নাকি মৃত্যুর ভয়ে চুল কাটেন না!
৯২ বছরের জীবনকালে এনগুয়েন চুল কেটেছেন মাত্র ১২ বছর বয়স পর্যন্ত। তারপর থেকে গত ৮০ বছর ধরে একবারের জন্যও তিনি তার চুল কাটেননি।
পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো চুল বড় রাখা তার কাছে যেনো নিয়মে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তার চুল ৫ মিটার লম্বা। তার ধারণা তিনি চুল কেটে ফেললেই মারা পড়বেন!
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি চুল কেটে ফেললেই আমার মৃত্যু হবে। আমি তখন মারা যাবো। সে কারণে আমি কখনোই চুল কেটে ফেলার ঝুঁকি নেওয়ার সাহস করতে পারিনি।
এনগুয়েন আরও বলেছেন, ‘আমি শুধু চুলের যত্নই নিয়েছি, চুল যেনো নষ্ট না হয়ে যায়, সেজন্যই ঢেকে রাখি। মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার রাখি, যেনো চুলগুলো দেখতে ভালো লাগে।’
তিনি আরও জানান, কাটা-ছাঁটা তো দূরের কথা ৫ মিটার লম্বা চুলে তিনি কখনও তেল-শ্যাম্পু-চিরুনি কিছুই লাগান না। এমনকী ঝুঁটি বেঁধে ঝুঁকিও নিতে চান না তিনি। শুকনো ও পরিষ্কার রাখার জন্য শুধু একটি গেরুয়া রঙের কাপড়ে সেই চুলগুলো ঢেকে রাখেন। তিনি ৯টি প্রাকৃতিক শক্তি ও ৭ দেবদেবীর উপাসনা করেন। তবে সবচেয়ে বড় ধর্মপালন হলো তার চুলকে বাড়তে দেওয়া বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া শুরু করার পর চুল কেটে ফেলার চাপ আসতে থাকে। তবে তারপর আর আমি চুল কাটিনি। আমি মনে করি যে, চুলের সঙ্গে মৃত্যুর একটা সম্পর্ক রয়েছে।’
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভিয়েতনামের রাজধানী হো চি মিন সিটি হতে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে বসবাস করেন চিয়েন। তিনি জানিয়েছেন যে, স্কুল ছাড়ার পরই চুল রাখার বিষয়ে তিনি নাকি দৈব নির্দেশ পেয়েছিলেন। জানিয়েছেন যে, আগে তার চুল ছিল কালো ও ঘন। তিনি নিয়মিতভাবে সেই চুল মসৃণ করার জন্য আঁচড়াতেনও। কখনও আবার বাঁধতেনও। তবে স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর রাতারাতি তা শক্ত হয়ে ওঠে। এখন তার এই দৈত্যাকৃতির চুলের গোছা সামলাতে সহায়তা করে থাকেন চিয়ানের পঞ্চম ছেলে লুম। ৬২ বছরের লুমও মনে করেন যে, চুলের সঙ্গে মৃত্যুর সরাসরি সংযোগ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, একবার তার এক পরিচিত ব্যক্তি চুল কাটতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
দেখুন ভিডিওটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।