দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নাতনী আরশিয়া’র কন্ঠে প্রথম মৌলিক গানের রেকর্ডিং করা হয়েছে।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কন্যা দিঠি আনোয়ারের বয়স যখন ৮ বছর ছিলো, সেই সময় তিনি তার জন্য প্রথম গান লিখেছিলেন ও সুর করেছিলেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে শরফরাজ মেহেদী উপল এবং তার স্ত্রী শাহানা মির্জা আশা’র একমাত্র সন্তান আরশিয়া’র জন্য তার ৮ বছর বয়সে দাদা গাজী মাজহারুল আনোয়ার একটি গান লিখে সুর করে দিলেন। গানের কথা হলো- ‘সারেগামা পাধা, আমার দাদী দাদা, বানাতে চায় শিল্পী আমায় বড়, ফুপ্পি এসে বলে লক্ষীসোনা এবার হারমোনিয়াম ধরো’। এই গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আহমেদ কিসলু।
গানটির রেকর্ডিং-এর সময় আরশিয়ার দাদা-দাদী, মা ও ফুপিও উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু আরশিয়া’র জীবনে এটিই প্রথম গান, তাই নিজের প্রথম গান নিয়ে অনেক বেশিই উচ্ছাস ছিলো আরশিয়ার মধ্যে। ছোট্ট আরশিয়ার মধ্যে গান গাইবার প্রবল আগ্রহ দাদা গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে।
এই বিষয়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেছেন, ‘আমার মেয়ে দিঠির বয়স যখন ৮ ছিলো, তখন তার জন্য আমি গান লিখেছিলাম। এতো বছর পর আমার ছেলের মেয়ে অর্থাৎ আমার নাতনীর জন্য সেই তার ৮ বছর বয়সে তাকে প্রথম গান আমি উপহার দিলাম। প্রথম গান হিসেবে আরশিয়ার এই উচ্ছাস দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সে কেমন গাইলো সেই প্রশ্নে আমি আসবো না, যারা সত্যিকার অর্থেই গান গাইতে আগ্রহী ও জেনে বুঝে গান করেন তাদেরকে আমাদের আরও অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আরশিয়ার মতো অন্য যারা গান গাইছে তাদেরকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে যাতে করে এই প্রজন্ম আগামীতে নিজেদেরকে তৈরি করে নিতে পারে।’
ছোট্ট আরশিয়া বলেছে, ‘আমার খুবই ভালো লেগেছে গান গাইতে, আমি আরও অনেক গান গাইতে চাই, সবার দোয়াও চাই। আমার দাদার লেখা গান দিয়েই আমার গানের জীবন শুরু হলো, এটাই আমার অনেক বেশি করে ভালো লাগছে।’
গাজী মাজহারুল আনোয়ার জানিয়েছেন, আগামীতে গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শেষে এই গানটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। দিঠির বয়স যখন ৮ তখন তার জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার যে গান লিখেছিলেন তা হলো ‘আমি আট বছরের মেয়ে, আমায় কাছে পেয়ে হলো ধন্য আমার মা’। আরশিয়া’র গানের হাতেখড়ি ওস্তাদ দীলিপ মজুমদারের কাছে। বর্তমানে আরশিয়া গান শিখছে ফেরদৌসী রহমানের তত্তাবধানে পরিচালিত ‘আব্বাস উদ্দিন সঙ্গীত একাডেমিতে। এছাড়াও ফেরদৌসী রহমানের ‘এসো গান শিখি’তেও অংশ গ্রহণ করছে আরশিয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।