দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বছর আগে গাছের সঙ্গে ঘটেছিলো বিবাহ। এবার মহা ধুমধামে বিবাহের বছরপূর্তি অর্থাৎ বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন এক নারী!
একবার ভাবুন তো বিষয়টি কেমন? হয়তো ভেবে পাচ্ছেন না কোনো কিছুই। তবে বাস্তবে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন ইংল্যান্ডের লিভারপুরের বাসিন্দা কেট কানিংহাম।
৩৮ বছর বয়সী এই রমণী সম্প্রতি তার বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে তার বর আর কেও নন, পার্কের একটি এলডার গাছ! কেটের এই ‘গাছ-স্বামী’-র বাসস্থান হলো সেফটনের রিমরোজ ভ্যালি কান্ট্রি পার্কে।
তবে কেটের এক বয়ফ্রেন্ড এবং দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও তার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কী কারণ হতে পারে? আসুন সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
লিভারপুলের সেফটন শহরে রিমরোজ ভ্যালি কান্ট্রি পার্কের গাছ কেটে সেখান দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে সেখানকার বাসিন্দারা চাইছেন না যে, রাস্তা তৈরির জন্য এই পার্কটি ধ্বংস হয়ে যাক। তাই পার্কটি বাঁচাতে তারা নানাভাবে আন্দোলন করে আসছেন।
সেই আন্দোলনকে এক কদম এগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় পার্কের একটি এলডার গাছকে বিয়ে করে নেন কেট কানিংহাম। তবে শুধু বিয়ে করাই নয়, নিজের পদবি পরিবর্তন করে কেট ‘এলডার’ও করে নিয়েছেন!
এই বিষয়ে কেট জানিয়েছেন যে, যদিও তার বছর পনেরোর বড় ছেলে মায়ের এই বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে যদিও কিছুটা বিব্রত বোধ করেন। তবে কেট নিজের সিদ্ধান্তের জন্য গর্বিত বলেই মনে করেন। ছেলেও একদিন এই বিয়ের মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন বলেও তার প্রত্যাশা।
কেট দিনে অন্তত ৫ বার তার ‘স্বামী’কে দেখতে যান ওই পার্কে। তার আশা যে, এই ‘বিয়ে’ সবুজ বাঁচানোর আন্দোলনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার সময় হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেট। তিনি বলেন যে, “এই পৃথিবী খুব সুন্দর একটি স্থান, একে নষ্ট হতে দেওয়া মোটেও উচিত নয়।”
যদিও কেটের এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও মেক্সিকোতে সবুজ বাঁচানোর লড়াইয়ের সৈনিক এক নারীও একটি গাছকে বিয়ে করেন। তারা বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আন্দোলনের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার এক বিশেষ ছাপ রেখে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।