দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে টারজান! আর এই টারজান হচ্ছেন সিলেটের মাক্কু মিয়া। তিনি বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করার জন্য সব সময় সচেতন থাকেন।
পত্রিকার এক অনলাইন খবরে বলা হয়, শিকারীদের হাত থেকে রক্ষায় মোহাম্মদ আলী মাক্কু মিয়া নামে এক ব্যক্তি সিলেটের জৈন্তাপুরে ১৫ কেজি ওজনের একটি গুই সাপ ধরে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ১৫ কেজি ওজনের এই গুই সাপটি বনবিভাগের খাদিম সংরক্ষিত বনে গত ২৭ জুলাই অবমুক্ত করা হয়েছে।
এর আগের দিন ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার গৌরী শঙ্কর গ্রামের মেহাজীর কলোনীর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মাক্কু মিয়া বিরল প্রজাতির ১৫ কেজি ওজনের এই গুই সাপটি দেখতে পান। তিনি গুই সাপটি আটক করে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে খবর দেন। গুই সাপ আটকের সংবাদ পেয়ে উত্তর সিলেট রেঞ্জ-২, জাফলং বনবিভাগের কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতা চাওয়া হয়। জাফলং বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল নিয়ে রাত সাড়ে ৯ টায় মাক্কু মিয়ার বাড়িতে পৌঁছেন। এসময় মোহাম্মদ আলী মাক্কু মিয়া তাদের কাছে হস্তান্তর করেন সাপটি।
মাক্কু মিয়া জানান, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে দলছুট হয়ে আসা অনেক বন্যপ্রাণী শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, শিকারীর হাত থেকে বন্যপ্রাণী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জাফলং বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় মাক্কু মিয়ার ভূমিকা অসাধারণ। তিনি এর আগে সরাইল হাঁসের পরিত্যক্ত ডিম থেকে ৮টি বাচ্চা ফুটিয়ে বড় করে এগুলো স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে অবমুক্ত করেছেন। এমনিভাবে মাক্কু মিয়ার মতো যদি দেশের সকলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসতেন তাহলে আমাদের দেশের বহু বন্যপ্রাণী রক্ষা পেতো। মাক্কু মিয়ার এসব কর্মকাণ্ডকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘টারজান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। টারজানের যেমন বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল। সিনেমার টারজান যেমন বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় সব সময় সচেতন থাকেন ঠিক তেমনি বাস্তবে বাংলাদেশের সিলেটবাসী মাক্কু মিয়াও প্রাণীদের রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।