দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবার নামে একটি সিনেমা বানাতে নেমে অর্থাভাবে পড়েন আপন দুই ভাই। অর্থের অভাবে মাঝপথেই বন্ধ করতে হয় চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ। তবে সেই টাকা জোগাড় করতে ৩ বছর ধরে ছাগল চুরি শুরু করেন দুই ভাই!
জানা যায়, সিনেমা তৈরির টাকা জোগাড় করতে শেষ পর্যন্ত ওই দুই ভাই চুরির পথ বেছে নেন। এই অর্থ জোগাতে তিন বছর ধরে তারা চুরি করে আসছিলেন ছাগল। শেষ পর্যন্ত ছাগল চুরি করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন তারা।
এমনই কাণ্ড ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুতে। সিনেমাটির নাম দেওয়া হয় ‘নে থানা রাজা’। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, তামিলনাড়ুর নিউ ওয়াশারমেনপেটের বাসিন্দা ভি নিরঞ্জন কুমার ও তার আপন ভাই লেনিন কুমার নিজের বাবাকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করছিলেন। ওই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল দু’জনের। তবে মাঝে হঠাৎ করেই অর্থের অভাবে চলচ্চিত্র তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখনই চুরির চিন্তা মাথায় আসে তাদের।
তারপর থেকে ছাগলসহ গবাদিপশু চুরি ও বিক্রি করে আসছিলেন এই দুজন। দিনে ৮–১০টি পশু চুরি করে প্রতিটি ৮০০ টাকায় বিক্রি করতেন তারা দু’জনে। চুরির সেই টাকা সিনেমা তৈরির জন্যই ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি দু’টি ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তারা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী চেঙ্গেলপেট, মাধাভরম, মিনজুর ও পোন্নেরি এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন ছাগল চুরির জন্য। তারপর রাস্তায় কোনো গবাদিপশু বিশেষ করে ছাগল, ভেড়া চরে বেড়াতে দেখলেই গাড়ি থামিয়ে সেটিকে চুরি করতেন এই দুই ভাই। এরপর সেই ছাগল নিয়ে তারা বিক্রি করতেন।
কোনো পশুপালকের ছাগল-ভেড়া চুরি করলেও একটি বা দু’টির বেশি তারা কখনও চুরি করতেন না, যাতে করে তাদের সন্দেহ না হয়। সম্প্রতি মাধাভরমের এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ছাগল চুরি করেন তারা। তবে ওই ব্যক্তির ছাগলই ছিল ৬টি। এতে করে তার সন্দেহ হয়। তারপরই থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও ঘটনার কথা জানতে পারেন। তারপরই রাস্তা হতে দু’টি ছাগল চুরি করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়েন এই দুই ভাই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।