দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাহারার ধূ-ধূ মরুপ্রান্তরে পাওয়া গেছে প্রায় দুই বিলিয়ন গাছের খোঁজ! স্যাটেলাইট হতে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করেই এই তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এই আবিষ্কার পরিবেশবিদদের গবেষণায় বিশেষভাবে সাহায্য করবে। সারা বিশ্বে কতোটা কার্বন জমছে, সেই হিসেব আরও বেশ নিখুঁত হবে।
গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানের অধ্যাপক মার্টিন ব্র্যান্ড সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই তারা খুবই আশ্চর্যই হয়েছেন। সাহারায় যে এতো গাছ জন্মায়, তা তারা কখনই জানতেনই না এতোদিন। উদ্ভিদশূন্য একেবারে রুক্ষ অংশও নেহাত কম নেই এই মরুভূমিতে, তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বালির নিচেও গাছ জন্মাচ্ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে নাসার বিজ্ঞানী জেস মেয়ার জানিয়েছেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ুর পরিবর্তন আটকানোর ক্ষেত্রেও এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। আগামী ১, ২ বা ১০ বছর পর আবার স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করলে বদলটা ধরতে পারা যাবে।
বিশাল মরুভূমিতে সবুজের খোঁজ করে হিসাব রাখা খুব সহজেই কাজ নয়, স্যাটেলাইটের পক্ষেও গাছের সংখ্যা বাড়া-কমা মাপতে যথেষ্ট পরিমাণে কসরত করতে হয়। যে কারণে প্রায় অসম্ভব এই কাজটি সম্ভব করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে মার্টিন ব্র্যান্ড ও তার গোটা দলকে। ৯০ হাজার গাছ পৃথক পৃথক করে খুঁজে চিহ্নিত করেছেন ব্র্যান্ড নিজেই। গাছদের শ্রেণীবিভাগের উপরেও জোর দিয়েছেন ব্র্যান্ড। সেই জন্য গবেষকদলকে পৃথক করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অপর একটি সমীক্ষায় ৫ লক্ষ বর্গ মাইল অঞ্চলের ১১ হাজার ছবি নিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ওই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়। সেখানেও সাহারায় সবুজের এই বিপুল অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অনেকেই এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখছেন ক্রমশ বদলে যাওয়া পৃথিবীর জলবায়ুর। ঠিক এই এক কারণেই বরফঢাকা অ্যান্টার্কটিকার শীতল বুকে তাই জন্ম নিচ্ছে প্রচুর সবুজ উদ্ভিদ!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।