দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরু-মহিষসহ সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত রেড মিট থেকে ‘হালাল’ শব্দ সরিয়ে দিলো ভারত সরকার। কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের অভিযোগে প্রেক্ষিপ্তে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতের কয়েকটি হিন্দু সংগঠন অভিযোগ করেছে যে, ‘হালাল’ শব্দটি মুসলমান রফতানিকারকদের ব্যবসায় বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে। তাদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ ওঠার পরপরই ‘হালাল’ শব্দটি সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত করা হয়।
দেশটির কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ) এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এপিইডিএ জানিয়েছে যে, ‘হালাল’ মাংসের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম শর্ত নেই। অধিকাংশ আমদানিকারী দেশ বা আমদানিকারকদের এটিই ছিলো চাহিদা। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারী দেশগুলোর মাধ্যমে সরাসরি ‘হালাল’ সনদ সংস্থাগুলো স্বীকৃত হয়ে আসছে।
ইতিপূর্বে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এপিইডিএ’র ‘লাল মাংসের নির্দের্শিকায়’ বলা ছিল যে, ইসলামি দেশগুলোর চাহিদা অনুসারে ‘হালাল’ পদ্ধতি অনুসারেই পশু জবাই হয়ে আসছে। আমদানিকারক কিংবা আমদানিকারী দেশগুলোর চাহিদা অনুসারে এসব পশু জবাই করা হয়ে থাকে।
এখন ‘হালাল’ সংশ্লিষ্ট একটি বাক্য নির্দেশিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছিল, ‘ইসলামী শরিয়া অনুসারে নিবন্ধিত এবং স্বীকৃত ইসলামী সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে ‘হালাল’ ব্যবস্থানুসারে এসব পশু জবাই করা হয়ে আসছিলো। আমদানিকারী দেশগুলোর প্রয়োজন মেটাতে নিবন্ধিত ইসলামী সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ‘হালাল’ সনদ দিয়েছে।’
সূত্র আরও জানিয়েছে, পুরোনো নির্দেশিকা বদলে ‘হালাল’ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হলো, তা সব রফতানিকারকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বলেই মনে করা হচ্ছে।
এপিইডিএ’র নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো বলছে যে, এতে করে সরকার ‘হালাল’ মাংসকে উৎসাহিত করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনকে সঠিক পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা।
‘হালাল’ সনদের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রচারকারী হরিন্দর শিখা বলেন, এটি কেবলমাত্র প্রথম পদক্ষেপ। আমরা আমাদের প্রচার অব্যাহত রাখবো। আমাদের শিখদের জন্য ‘হালাল’ মাংস হারাম।
এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ‘হালাল’ মাংস পরিবেশন বন্ধে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী হারদ্বীপ পুরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ওইসব শিখ নেতারা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।