দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমে সামান্য পরিশ্রমেই পানির তেষ্টা পায়। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা হয়। তবে শীতে সেভাবে তেষ্টা পায় না বলে পানিও কম পান করা হয়ে থাকে। তাই শীতে গরম পানি পান করে কি উপকার পেতে পারেন।
শীতের সময়টা এমনিতেই শরীরের আদ্রতা অনেক কমে যায়। দেহে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে প্রচণ্ড ক্ষুধাও লাগে। হজমের সমস্যা এবং সেইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
আমাদের শরীরের ৭০ ভাগেরও বেশিই হচ্ছে পানি, সেজন্য সারা বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তবে স্বাভাবিক পানির চাহিদা একেক জনের আলাদা থাকে।
যেমন ধরুন, শিশুদের, পুরুষ এবং নারীদের পানির চাহিদাও ভিন্ন রকম। আবার যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে থাকেন, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের অন্যদের তুলনায় একটু বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
নারীদের প্রতিদিন পানি পান করতে হবে অন্তত পক্ষে ৬-৮ গ্লাস। ব্যায়াম কিংবা ভারি কাজ করেন এমন নারীরা ৮ হতে ১০ গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
তবে পুরুষের জন্য ৮ হতে ১০ গ্লাস পানিই যথেষ্ট। তবে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তারা ১০ হতে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
অনেকেই শীতে ঠাণ্ডা পানি পান করতে চান না, এতে করে প্রয়োজনীয় পানি পান করা হয়ে ওঠে না। এই সমস্যার সমাধান কল্পে হতে পারে গরম পানি। পানি হালকা গরম করে পান করলে উপকার, তবে ঠাণ্ডা পানি পানের চেয়েও অনেক বেশি। শুধুমাত্র শীতের সময়ই নয়, সারা বছরই যদি হালকা গরম পানি পানের অভ্যাস করা হয়, তবে আমরা যে উপকারগুলো পেতে পারি তা হলো :
# গরম পানি শরীরে বাড়তি ফ্যাট ঝড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে, মধু, আদা ও লেবু মিশিয়ে খেলে পাওয়া যাবে প্রভুত উপকার।
# গরম পানি পানে শরীরে ঘাম হয়, আর তখন ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায় শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনগুলো।
# খাওয়ার পর গরম পানি পান করলে গ্যাস অম্বলের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
# গরম পানি পারে দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
# গরম পানি পানে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।