দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত্যুর কথা তিনি জানতেন না। তাইতো বাড়ি যাওয়ার মুহূর্তে ছবিসহ দিয়েছিলেন একটি ট্যাটাস। ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত বিমান যাত্রীর জীবনের শেষ স্ট্যাটাসটি মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত শ্রিয়িজায়া এয়ারলাইন্সের বিমানটির দুটি ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ পাওয়া যায়। দেশটির জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি প্রধান সোয়েরজান্তো জাহজোনো এক বিবৃতিতে বলেন, বিধ্বস্ত এসজে ১৮২ ফ্লাইটটির দুটি ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমানটির আরোহীদের খুঁজতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানকার উদ্ধারকর্মীরা। ৬২ আরোহীকে খুঁজতে এখন কাজ করছেন ২ হাজার ৬০০ উদ্ধারকর্মী। তবে কোনো আরোহীর জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
জাভা সাগরে ইন্দোনেশিয়ার বিধ্বস্ত বিমান বোয়িং ৭৩৭-৫০০ এর ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান পাওয়া গেছে। দ্রুত সেটি পুনরুদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন দেশটির সামরিক প্রধান। অপরদিকে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের জন্য পরিবারের আহাজারি যেনো থামছেই না।
রাইথ উইনদানিয়া নামে এক যাত্রীর ইন্সটাগ্রামের পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দুই সন্তান নিয়ে বিমানে ওঠার পর ইন্সটাগ্রামে তার দুই সন্তানকে নিয়ে একটি হাস্যোজ্জল পোস্ট দেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন যে, ‘বাই বাই ফ্যামিলি, আমরা এখন বাড়ি যাচ্ছি।’ ছবি পোস্ট করার কয়েক মিনিট পর সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় তাদেরকে বহনকারী ওই বিমানটি।
রাইথের ভাই ইরফানসিয়াহ রিয়্যান্তো তার বোনের পরিবারের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তাতে লিখেছেন: ‘আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিমানের সন্ধান না পাওয়া গেলেও সাগরের এখানে-সেখানে ভেসে উঠছে দেহাবশেষ, জামাকাপড় এবং লাইফ জ্যাকেটসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র। হেলিকপ্টার এবং জলযান নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। অনেক মৃতদেহের খণ্ডিত অংশও পাওয়া গেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়ার যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি অনেক পুরনো মডেলের বিমান ছিলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।