দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের বাতাস ‘বিপজ্জনক মাত্রায়’ দূষিত হওয়ার কারণে দেশে ফিরলে অকাল মৃত্যু হতে পারে এমন যুক্তি দেখিয়ে ফ্রান্সে থাকার অনুমতি পেলেন জনৈক বাঙালি অভিবাসী!
ওই বাঙালিকে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন বোর্দোর একটি আপিল আদালত। ৪০ বছর বয়সী বাংলাদেশী নাগরিকের নাম প্রকাশ না করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, ফ্রান্সে এই ধরনের রায় এবারই প্রথম বলে মনে করছেন ওই ব্যক্তির আইনজীবী।
আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন যে, তার মক্কেলের অ্যাজমা রোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে গেলে অকাল মৃত্যুর শঙ্কায়ও পড়তে পারেন। আইনজীবী লুডোভিচ রিভিয়ার বলেছেন যে, ‘আমার জানা মতে ফ্রান্সের কোনো আদালত এই প্রথম এমন ধরনের রায় দিলেন।’
‘সিদ্ধান্তে বলা হয় যে, বাংলাদেশের বিপজ্জনক দূষণের কারণে আমার ক্লায়েন্টের জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে।’ বাংলাদেশের দূষিত বাতাস নিয়ে আলোচনা নতুন নয় বেশ পুরোনো। গত বছর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ছিল ১৭৯তম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের থেকেও প্রায় ৬ গুণ খারাপ বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের বাতাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব হিসাব মতে, বাংলাদেশে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ মৃত্যুর ক্ষেত্রে চরম মাত্রায় ঝুঁকির একটি ফ্যাক্টর হলো এই বায়ুদূষণ। গত নভেম্বরের শেষে ও চলতি মাসের প্রথম দিকে ঢাকা পৃথিবীর দূর্ষিত শহরের শীর্ষে উঠে আসে। এই প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের ওই আদালতকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশী ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে যে ওষুধ সেবন করছেন সেটি বাংলাদেশে পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়াও হাসপাতালে অবস্থানকালে ওই বাংলাদেশীকে রাতে ঘুমানোর সময় শুধুমাত্র রাত্রিকালীন ভেন্টিলেশন সরঞ্জাম সুবিধা দিতে পারে বাংলাদেশী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
ফ্রান্সের ওই আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ওই অভিবাসী যে ওষুধ গ্রহণ করেন তা যেহেতু বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাসপাতালে তার যে ধরনের ভেন্টিলেশন যন্ত্রপাতি দরকার পড়বে, ঘুমানোর জন্য বাংলাদেশের হাসপাতালে তা কেবলমাত্র রাতেই দেওয়া সম্ভব। সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ওই অভিবাসীর বাবাও ৫৪ বছর বয়সে অ্যাজমা অ্যাটাকে মারা যান। ভুক্তভোগী ওই অভিবাসী ২০১১ সালে ফ্রান্সে যান। সেখানে ওয়েটারের কাজ করেন তিনি। ২০১৫ সালে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।