দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি ব্যস্ত জীবনের শিকল ছিঁড়ে অন্তত শরীরের দিকে একটু নজর দিতেই পারেন। শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে হলে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই।
একাধিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন কম করে হলেও ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে একাধিক রোগ হতে দূরে থাকা যায়। হাঁটলে শরীরের যে উপকার হয় আসুন আজ এই বিষয়টি জেনে নিই।
এনার্জি বৃদ্ধি পায়
ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার তত্ত্বাবধানে হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, যদি সারা দিনের যে কোনও সময় ২০ মিনিট হাঁটা যায় তাহলে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ আরও বেড়ে যায়। যে কারণে এনার্জির ঘাটতিও কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও আর থাকবে না।
মন খুশি হয়ে যায়
গবেষণায় ইতিমধ্যেই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হলকাভাবে কয়েক মিনিট হাঁটলেই মন ভালো হয়ে যায়। কারণ হলো হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামে এক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষেই আপনার মন খারাপকে আনন্দে বদলে দেবে।
হার্ট ভালো রাখে
চিকিৎসকদের ভাষ্য মতে, সারাদিনে ২০ মিনিট হাঁটলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮ শতাংশের মতো কমে যায়। হার্ট ডিজিজের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও প্রায় ১৮ হতে ২০ শতাংশ কমে যায়।
আয়ু বৃদ্ধি পায়
একটি জিনিস আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আর তা হলো প্রতিদিন ঘাম ঝরিয়েই যে হাঁটতে হবে না, এমন নয়, হলকা চালে একটু এদিক সেদিক হাঁটলেই উপকার পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে শরীরে সচলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাঞ্চ ও ডিনারের পর নিয়ম করে যদি হাঁটার অভ্যাস করেন তাহলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও একেবারেই থাকে না।
ওজন হ্রাস পায়
আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করেন, তাহলে পেটের চর্বি কিংবা ভিসারেল ফ্যাট কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে আপনার শরীরের অন্য জায়গায় জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও কমে যাবে। যে কারণে আপনার সার্বিকভাবে ওজন হ্রাস পাবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে
আসলে স্মৃতিশক্তি কার কতোটা শক্তিশালী হবে, তা নির্ভর করে তার মস্তিষ্কের হিপোকম্পাস অংশের উপরেই। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাঁটলে হিপোকম্পাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি ও মনে রাখার ক্ষমতার বেশ উন্নতি ঘটে। যে কারণে ডিমেনশিয়ার মতো রোগে তখন আর আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।