দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে জাপানে। প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে অনেক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন।
জাপানে উল্লেখযোগ্য হারে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বহু মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। যে কারনে গত এক দশকে দেশটিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের তানাদা হিরোফুমির বরাত দিয়ে দ্য ইকোনোমিস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১০ বছরে জাপানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও অনেক বেশি হয়েছে। ২০১০ সালের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, জাপানে ১ লাখ ১০ হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বি ছিল। তবে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩০ লাখ।
এই এক দশকে জাপানের উল্লেখযোগ্য মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা বেড়ে গেছে। পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে যে, গত ১০ বছরে ৫০ হাজার জাপানি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জাপানে আরও বেশি বেশি মসজিদ, ইবাদতের স্থান ও হালাল খাবারের দোকানও স্থাপন করা হচ্ছে। রিটসুমেইকান এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির (এপিইউ) একজন অধ্যাপক ও বেপ্পু মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রধান মুহাম্মদ তাহির আব্বাস খান এই বিষয়ে বলেছেন, জাপানে বর্তমানে ১১০টি মসজিদ রয়েছে।
দিন দিন মসজিদের সংখ্যা বাড়লেও কবরের স্থান নিয়ে এখনও জাপানে বসবাসরত মুসলিমদের উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। জাপানের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষকেই দাহ করা হয়। তবে ইসলামে মৃতদেহ দাহ করা নিষিদ্ধ। এমতাবস্থায় এটি দেশটিতে একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আব্বাস খান আরও বলেন, যদি আজ আমার মৃত্যু ঘটে, তাহলে আমাকে দাফন করা হবে কিনা আমি তা আদতেও জানি না।
তবে কবরস্থানের জন্য বিএমএ প্রায় এক দশক ধরে অর্থ উত্তোলন করে আসছে। তবে কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণের পর স্থানীয়রা এর বিরোধিতাও করেছে। তারা বলছেন যে, কবরস্থান থাকলে তারা নাকি নিশ্চিতে পানি পান করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য যে, রুশ বিপ্লবের পর রাশিয়া হতে কয়েকশ তুর্কি মুসলিম অভিবাসী ১৯২০-র দশকে জাপানে এসে বসবাস শুরু করেন। ১৯৩০ সালে জাপানে বিভিন্ন দেশের এক হাজার মুসলিম অবস্থান করছিলো। পরবর্তীকালে ১৯৮০-র দশকে ইরান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ হতে অভিবাসী কর্মীরা জাপানে পাড়ি দিলে সেখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তথ্যসূত্র : আরটিভি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।