দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টিসি ক্যান্ডলারের ম্যাগাজিনে ২০২০ সালের বিশ্বের সর্বাধিক সুন্দরী নারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন ইসরায়েলি মডেল ইয়েল শেলবিয়া।
ওই তালিকায় আরও স্থান পেয়েছেন ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ তারকা অভিনেত্রী গাল গ্যাডোট। ওই তালিকায় আরও রয়েছেন একসময়ের বিশ্বের সেরা সুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেইসঙ্গে রয়েছেন সেলিনা গোমেজ, এমা ওয়াটসন। আরও রয়েছেন উইঘুর মুসলিম নারীও। এ ছাড়াও রয়েছেন বিশ্বের সেরা সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীরা।
ডিসেম্বরের শেষভাগে টিসি ক্যান্ডলারের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে বিশ্বের সর্বাধিক সুন্দরী নারীদের অবস্থান বর্ণনা করা হয়। সেইসঙ্গে রয়েছে তাদের পরিচয়ও। ১৫ মিনিটের ওই ভিডিওটি শেষ হয়েছে ইসরায়েলি মডেল ইয়েল শেলবিয়ার ছবি দিয়েই। ভিডিওটি প্রকাশ করার পর হতে ১০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়ে গেছে।
শেলবিয়া কয়েক বছর ধরে এই তালিকার র্যাঙ্কিংয়ে ক্রমান্বয়ে উঠে এসেছেন। ২০১৭ সালে এই মডেল ১৪তম স্থান দখল করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তারপর ২০১৯ সালে দখল করে নেন দ্বিতীয় স্থান। এবার তিনি দখল করে নিলেন প্রথম স্থান।
শেলবিয়া প্রথমে নিজেই নিজের কিছু ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেন। স্কুলপড়ুয়া কিশোরীর ওই ছবিই নজরে পড়ে যায় এক পেশাদার চিত্রগ্রাহকের। চিত্রগ্রাহক মারিনার পক্ষ হতে প্রথম ফটোশুটের প্রস্তাব পান ১৬ বছরের এই কিশোরী ইয়েল শেলবিয়া।
তার ক্যারিয়ার যে এভাবে ঊর্ধ্বমুখী হবে ও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখের অধিকারী হয়ে উঠবেন, তা তিনি কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি। তবে ১৯ বছরের কিশোরী ইয়েলকে মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে সম্মুখীন হতে হয় অসংখ্য বিরোধিতা, হুমকি ও কু-মন্তব্যের। তবে সব বাধা অতিক্রম করে তিনি আজ প্রতিষ্ঠিত মডেল এবং সবচেয়ে সুন্দর মুখের অধিকারী। লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে জনপ্রিয় অভিনেত্রী-মডেল কিম কার্দাশিয়ানের সঙ্গেও কাজ করেছেন ইয়েল।
ইয়েলের জন্ম হয়েছে ইসরায়েলের নাহারিয়ার এক গোঁড়া খ্রিস্টান পরিবারে। বাবা একটি কারখানার সুপারভাইজার এবং তার মা লাইব্রেরিয়ান। গোঁড়া খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম হওয়ায় ছোট হতেই ধর্মীয় নানা বেড়াজালের মধ্যেই বড় হন ইয়েল।
তাকে প্রথমেই একটি ধর্মীয় স্কুলে ভর্তি করা হয়। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ধর্ম নিয়ে নানা পাঠ শিখেছেন ইয়েল। চলাফেরা, ওঠাবসা, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ- সব কিছুতেই ধর্মীয় রীতি মাথায় রাখতে হতো তাকে।
২০১৭ সালে ইয়েল ১৪তম স্থান দখল করেন। ২০১৮ সালে ইয়েল তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে দখল করে নেন দ্বিতীয় স্থান। এবার তিনি দখল করে নিলেন প্রথম স্থান।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।