দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পঞ্চগড় জেলায় গত সোমবার পাওয়া গেছে বিরল প্রজাতির একটি সাপ। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাপের এই প্রজাতিটি দেখা গেলো।
পুরো পৃথিবীতেই মাত্র ২০ হতে ২২ বারের মতো দেখা গেছে এই বিরল প্রজাতির সাপ। সাপের এই প্রজাতিটি সাধারণভাবে ‘রেড কোরাল কুকরি’ নামেই পরিচিত।
এই সাপটি এখন রাজশাহী স্নেক রেসকিউ অ্যান্ড করজারভেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তার প্রাণ ঝুঁকিমুক্ত কিনা তা বলা যাবেনা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ে পাওয়া সাপটি রেড কোরাল কুকরি সাপই। বিবিসিকে তিনি বলেছেন যে, সাপটি ধরা পড়ার পর সেখান থেকে তার কাছে ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়।
তিনি সাপটির মাথার গঠন এবং মুখের আকার দেখে ও এর নড়াচড়ার ভঙ্গি এবং ধরণ দেখেই সাপটির পরিচয় চিহ্নিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন যে, রেড কোরাল কুকরি সাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুব কমই পাওয়া যায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের খেরি জেলায় দেখা যায় এই সাপ।
তিনি আরও বলেন, “এটি খুবই বিরল প্রজাতির একটি সাপ। বাংলাদেশে আগে কখনই এই সাপ দেখা যায়নি। পুরো পৃথিবীতেই মাত্র ২০ হতে ২২ বারের মতো দেখা গেছে এই প্রজাতির সাপ।”
এটি মূলত ভারতের হিমালয় অঞ্চলের সাপ, তবে সাধারণত ভারতের উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে এই সাপ দেখা যায়। সহযোগী অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান বলেছেন যে, এই সাপ সাধারণত লালচে উজ্জ্বল বা কমলা রঙের হয়। তবে এই সাপটি মৃদু বিষধর।
এই প্রজাতির সাপ নিশাচর ও বেশির ভাগ সময়ই মাটির নিচেই থাকে। এবার যে সাপটি পাওয়া গেছে, তার দৈর্ঘ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটি একটি পূর্ণ বয়স্ক সাপ। সে কারণেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পঞ্চগড়ের আশেপাশের এলাকায় এই জাতের আরও সাপ থাকতে পারে।
সাধারণত এই সাপ খুব বেশি লম্বা হয় না, এরা সাধারণত মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে। এই সাপের প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ওলিগোডন খেরিনসিস।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার এক বাজারের কাছে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এক্সক্যাভাটর যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটছিলেন নির্মাণ শ্রমিকরা। হঠাৎই এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে বেশ কয়েকটি সাপ।
ভেতরে আরও সাপ থাকতে পারে এমন আশংকা হতে তারা দ্রুত সেখানকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মী এবং সাপ উদ্ধারকারী মোঃ শহীদুল ইসলামকে খবর দেন।
পঞ্চগড়ে এই বিরল রেড কোরাল কুকরি সাপটি আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শহীদুল ইসলাম এসে মোট ৮টি সাপ উদ্ধার করেন, যাদের মধ্যে একটি ছিল রেড কোরাল কুকরি সাপ। বোদা উপজেলার যে জায়গায় রেড কোরাল কুকরি সাপটি পাওয়া যায়, সেটি প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। তিনি আরও বলেন, এক্সক্যাভাটরের আঘাতে পেটের কাছে আঘাত লেগে সাপটির নাড়ীভুঁড়িও বেরিয়ে গিয়েছিল।
শহীদুল ইসলাম জানান , সাপটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হলেই সাপটিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হবে।
তবে এই সাপটির প্রাণের শঙ্কা এখনও কাটেনি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রমন।
তিনি বলেছেন, “সাপটির নাড়ীভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়ার কারণে, সেটি এখনোও খুবই জটিল অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার, আমরা এটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সমস্যা হলো ব্যান্ডেজ করলেই সাপটি নড়াচড়া করে সেটি আবার খুলে ফেলছে, যে কারণে তার চিকিৎসায় দীর্ঘ সময়ও লাগছে।”
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের
Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।