দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সৃষ্টি এবং পারস্পরিক ঝগড়া বিবাদ নিরসনে সালামের গুরুত্ব আসলেও অপরিসীম। ‘সালাম’ প্রদান করা ভালোবাসার নির্মল সেতুবন্ধন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
ঝগড়া ফাসাদ মানুষের জীবনকে একেবারে অতিষ্ঠ করে তোলে। জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য গতিকে চরমভাবে ব্যাহত করে থাকে ঝগড়া-ফ্যাসাদ।
এক মুমিন ভাই আরেক মুমিন ভাইয়ের সঙ্গে সামনা সামনি দেখা হলে আসসালামু আলাইকুম বলে সম্বোধন করা হয়। আবার প্রতি উত্তরে উয়ালাইকুমুস সালাম বলা হয়ে থাকে। এতে করে সৃষ্টি হয় মুহাব্বত। এই মুহাব্বত এবং প্রীতি ভালোবাসা মানুষের জীবনকে করে তোলে সুখ ও আনন্দে ভরপুর। পৃথিবীর যতো জ্ঞানি-গুণি, তাদের সর্বসম্মত বক্তব্য, সেই সুখ-স্বাচ্ছন্দ লাভের একমাত্র উপায় হলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, তাতে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
তাহলে এই সৌহার্য্য ও সম্প্রীতি কীভাবে সৃষ্টি হবে?
এর সমাধান নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই দিয়ে গেছেন। তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি আমল শিক্ষা দিবো, যে আমল করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসতে শিখবে? তোমরা তখন সালামের প্রসার ঘটাবে।’
নবীজীর এই কথার পর পৃথিবীর মানুষ লাভ করলো বিশ্ব শান্তির এক অনন্য সাধারণ অমোঘ একটি ব্যবস্থা। কেনোনা সালাম মানুষকে পরস্পর বন্ধনে আবদ্ধ করে থাকে। সালাম মানুষের হৃদয় এবং আত্মার গভীরে শান্তির শীতল স্পর্শ দান করে থাকে। সমাজবদ্ধ জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধির মূল শক্তিই হলো এই বন্ধন, আত্মার সঙ্গে আত্মার এক প্রগাঢ় সম্মিলন।
নবীজী ঘোষণা দিয়েছেন, ‘তোমরা সবাই সালামের প্রসার ঘটাও, তাতেই সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে শুরু হয়ে গেলো প্রতিযোগিতা, কে কার আগে সালাম দিতে পারেন। সালামের প্রসারে কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে সেই প্রতিযোগিতা শুরু হলো।’
নবীজীর এই বাণী সাহাবায়ে কেরামের জীবনে আপন মহিমায় মূর্ত হয়ে উঠে। তাই তাঁদের জীবনে ঘটেছিল সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির বিস্ময়কর অনেক ঘটনাবলি। তারা মানুষকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন হৃদয় এবং মনের সবটুকু উজাড় করে। তাঁরা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন এক ভাই আরেক ভাইয়ের জন্য স্বার্থত্যাগ এবং আত্মত্যাগের বিরল এবং বিস্ময়কর এক ইতিহাস। যা আমাদের জন্য পায়েও হয়ে রয়েছে। তাই সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা এক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।