দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেসব নারী নিয়মিতভাবে প্যারাসিটামল ও ইবুপ্রুফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন তাদের শ্রবণশক্তি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যারা মাথাব্যথার কারণে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বাজারে পাওয়া পেইনকিলার সেবন করে থাকেন তাদের একই ঝুঁকি থাকে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যায়।
আমেরিকার গবেষকরা প্রায় ৬২ হাজার নারীর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে, যারা সপ্তাহে দু’বার পেইনকিলার সেবন করেছেন তাদের বধির হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়েও ১৩ শতাংশ বেশি। সপ্তাহে ৬ বার ইবুপ্রুফেন জাতীয় ওষুধ সেবন করলে বধির হওয়ার ঝুঁকি থাকে ২৪ শতাংশ। আর যারা সপ্তাহে ৬ দিন প্যারাসিটামল সেবন করেন, তাদের বধির হওয়ার ঝুঁকি থাকে ২১ শতাংশ।
গবেষণায় অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে বধির হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি। ঠিক কী কারণে এসব ওষুধ গ্রহণে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকে তা ব্যাখ্যা অবশ্য করতে পারেননি গবেষকরা।
আমেরিকার নার্সেস হেলথ স্টাড কর্তৃক ১৯৯৫ হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত ১ লাখ ১৬ হাজার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন তারা। এসব মহিলাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তারা কী পরিমাণ প্যারাসিটামল, ইবুপ্রুফেন কিংবা অ্যাসপিরিন সেবন করেছেন। কতোদিন থেকে তাদের শ্রবণশক্তির সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে দেখা যায় যে, সংশ্লিষ্ট মহিলাদের শ্রবণশক্তি সমস্যা নির্ভর করছে প্যারসিটামল এবং ইবুপ্রুফেন গ্রহণের সময়ের উপর।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রণেতা ড. শ্যারন কারহান বলেন যে, এই গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্যারসিটামল এবং ইবুপ্রুফেন জাতীয় ওষুধ গ্রহণের সঙ্গে শ্রবণশক্তি কমার সম্পর্ক বিদ্যমান। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে গবেষণা করে বধিরতার সংখ্যা কমানো যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।