দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০০ বছর পূর্বে ১৮১২ সালে নেপোলিয়ানের ব্যর্থ মস্কো অভিযানের বিপর্যয়ে নিহত ফরাসি এবং রুশ সৈন্যদের দেহাবশেষ আবার সমাধিস্থ করার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐক্যের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় স্মোলেনস্ক নগরীতে ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় নিহত ১২৬ জনের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হচ্ছে।
সামরিক নেতাদের মৃত্যুতে ফ্রান্সের দ্বিবার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এই বছর প্রায় ২০০ বছর পূর্বে নিহত সৈন্যদের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
মস্কোর ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পশ্চিমে ভিয়েজমা শহরে সমাধিস্থলে নিহতদের বংশধর ও কয়েক ডজন রি-এনক্টর এতে যোগ দেবেন। রি-এনক্টরা যুদ্ধকালীন সময়ের নানা আবহ তুলে ধরবেন। উভয় দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকরা ২০১৯ সালে এক গণকবরে ১২০ সৈন্য, ৩ নারী এবং ৩ টিনেজারের দেহাবশেষ আবিস্কার করেছিলেন।
এই খননে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্রেমলিনের সঙ্গে যুক্ত ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব রাশিয়ান-ফ্রেন্স ঐতিহাসিক উদ্যোগের প্রধান পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, তিন নারী ‘ভিভেনডিয়ের্স’ কিংবা ফরাসি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্ত, তারা হয়তো সৈনিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেন ও ক্যান্টিনে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তিন কিশোর হয়তো বাদকদলের সদস্য ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে যে, বেরেজিনা নদী অতিক্রমের ভয়ংকর পরিস্থিতির পূর্বে মস্কো হতে নেপোলিয়নের বাহিনী প্রত্যাহারের শুরুতে ৩ নভেম্বর ১৮১২ ভিয়েজমা যুদ্ধে তাদের মৃত্যু ঘটে।
রাশিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান কঠোর অভিযান ও রাশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে গান-স্যালুটের মাধ্যমে যুদ্ধে নিহতদের স্মরণ এবং সমাধিস্থ করার এই অনুষ্ঠান ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, যুদ্ধে অংশ নেওয়া ফ্রান্স এবং রাশিয়া দুই পক্ষের সমর নেতাদের বংশধররা এখানে একত্রিত হবেন, এই পুনর্মিলনে তারা ২০০ বছরের বেশি সময় আগে নিহতদের স্মরণও করেছেন।
নেপোলিয়নের অভিযান প্রতিহতকারী জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচিত রাশিয়ান ফিল্ড মার্শাল মিখাইল কুতুজভের বংশধর ইউলিয়া খিতরোভো আরও বলেছেন ‘তাদের মৃত্যুই সমতা তৈরি করেছে; তারা এখন সকলেই এক কবরে।’
নেপোলিয়নের অন্যতম এক সেনাপতির বংশধর প্রিন্স জোয়াসিম মুরাত এই বিষযে বলেছেন, একদা যুদ্ধের পক্ষগুলোর মধ্যে এই অনুষ্ঠান ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক’ হয়েই দেখা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।