দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুন্সীগঞ্জে জেলার টঙ্গিবাড়ীর আব্দুল্লাহপুরের নাটেশ্বর গ্রামে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন ’রেলিক চেম্বার’ বা ‘স্মারক কুঠুরি’।
সেখানে আরও আবিষ্কৃত হয়েছে ১৮০ বর্গমিটার আকৃতির দু’টি অষ্টকোণাকৃতির স্তূপ, ১৭ মিটার সুরক্ষা প্রাচীর এবং নকশা করা ইট। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, অষ্টকোণাকৃতির স্তূপের কেন্দ্রে বিশেষ ধরনের স্তাপত্য ‘স্মারক কুঠুরি’ একটি দুষ্প্রাপ্য এবং তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার বলা যায়। যেখানে গৌতম বুদ্ধ কিংবা তাঁর গুরুত্বপূর্ণ শিষ্যের দেহ ভষ্ম অথবা ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হতো। বাংলাদেশে এই ধরনের আবিষ্কার এবারই প্রথম।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এসব তথ্য দিয়েছেন। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামের প্রত্নস্থানে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এবং গবেষণা কর্মসূচি পরিচালক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন এবং গবেষণা পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পাঠ করেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
খনন কার্যক্রম ও আবিষ্কারের বিষয়ে ঐতিহ্য অন্বেষণ-এর বিক্রমপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এবং গবেষণা কর্মসূচির গবেষণা সহযোগী ড. মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ মাসব্যাপী প্রত্নখননে ৮০০ হতে ১২০০ বছরের প্রাচীন দুটি অষ্টকোণাকৃতির স্তূপ পাওয়া যায়। স্তূপটির কেন্দ্রে বিশেষ ধরনের একটি ‘স্মারক কুঠুরি’ও পাওয়া যায়।
ড. মাহবুবুল আলম আরও বলেন, এটি একটি দুষ্প্রাপ্য এবং তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার। ওই স্মারক কুঠুরিতে গৌতম বুদ্ধ অথবা তার গুরুত্বপূর্ণ শিষ্যের দেহভষ্ম এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হতো। এর ওপরের অংশ গোলাকার এবং নিচের অংশটি চতুষ্কোণাকৃতির।
বৌদ্ধ স্তূপের পাশে একটি সুরক্ষা দেওয়ালও আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব স্তূপে বৌদ্ধধর্মের দর্শনকে ফুটিয়ে তোলার নিদর্শন পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এই আবিষ্কার প্রথম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্নখনন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, ঐতিহ্য অন্বেষণ বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এবং গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন, গবেষণা পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।