দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্লাস্টিক কিংবা কাচের বোতলে আমরা পানি ব্যবহার করে বেশি অভ্যস্ত! তবে এবার এলো ব্যতিক্রমি জিনিস আর তা হলো বাঁশের তৈরি পানির বোতল!
আপনি কী কখনও এমন বাঁশের তৈরি বোতলের কথা ভেবেছেন? হয়তো আপনার মাথাতেই আসেনি বিষয়টি! তাই আপনি নিজেও অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। ভাবছেন বাঁশ দিয়ে আবার কীভাবে বোতল বানানো যাবে? সত্যিই এই অসাধ্য বিষয়টিকে সম্ভব করেছেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি বাঁশ দিয়েই তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এক পানির বোতল।
ভারতের আসামের ওই ব্যক্তি এই প্রাকৃতিক বোতলের উদ্ভাবক। তার নাম ধির্তিমান বোরা। বর্তমানে তার তৈরি এই বাঁশের বোতল নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এই বাঁশের তৈরি বোতল শতভাগ ছিদ্রহীন। প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে এই বাঁশের বোতল অনায়াসে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ সবারই জানা প্লাস্টিক মানুষের স্বাস্থ্য এমনকি পরিবেশের জন্যও বেশ ক্ষতিকর।
বর্তমান বিশ্বের অনেকেই প্লাস্টিকের বদলে কাচের পাত্রে পানি পান করে থাকেন। তবে কাচের বোতল আবার শিশুদের জন্য কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ বটে। তাছাড়াও কাচের বোতল বেশ ভারিও হয়ে থাকে। তবে এসব সমস্যার সমাধানে রয়েছে বাঁশের বোতলগুলো। এগুলো হাতের থেকে পড়ে গেলেও ভাঙবে না। আবার বহন করাও বেশ ঝামেলাহীন হবে।
এই বোতলের উদ্ভাবক বোরা বিগত ১৭ বছর ধরে এই ছিদ্রহীন বাঁশের পানির বোতল তৈরি করে আসছেন। এটি তৈরির পর হতেই তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচুর সাড়াও পাচ্ছেন। এই বোতলগুলো বাঁশের অঙ্কুর দ্বারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা হয়। তাই প্রচণ্ড গ্রীষ্মকালেও এতে পানি ঠাণ্ডা থাকে। বোতলের বাইরের স্তরটি তেল দিয়ে পলিশ করে মসৃণও করা হয়েছে। আরও জেনে অবাক হবেন যে, বোতলের ছিপিটিও তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দিয়েই!
উদ্ভাবক ধির্তিমান শুধু বাঁশের তৈরি বোতল তৈরি করেই ক্ষান্ত হনননি। তিনি আরও তৈরি করেছেন, বাঁশের চায়ের কাপ, মগ, চায়ের কেটলিসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নানা রকম জিনিস। এছাড়া তিনি পাট দিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছেন নেট দুনিয়ায়। প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে বাঁশ এবং পাট পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এই বোতল তৈরি করেছেন তিনি।
প্লাস্টিক-মুক্ত দেশ গড়তে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই অসাধারণ কাজটি সবার সামনেই তুলে ধরেন। তার মতে, বাঁশের একটি বোতল তৈরি করতে ৪ হতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এই প্রাকৃতিক বোতলের দাম মূলত ৬০০ রুপির মধ্যে। প্লাস্টিকমুক্ত বিশ্ব গড়তে হলে আমাদেরকে অবশ্যই এমন ঘরানার প্রাকৃতিক জিনিসপত্র ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার দায়িত্বও রয়েছে আমাদেরই ঘাড়ে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।