দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ‘স্যারের মেয়ে’ নাটকে অভিনয় করছেন মৌসুমী মৌ। সম্প্রতি নাটকটির শুটিংও শেষ হয়েছে।
সময়ের ব্যস্ততম উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মৌসুমী মৌ। তিনি অভিনয় করেছেন এই নাটকটির মূল চরিত্রে। এছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত এবং মনোজ প্রামাণিক। নাটকটি লিখেছেন মিজানুর রহমান বেলাল। সংগীত করেছেন মার্সেল।
মৌসুমী মৌ তরুণদের মধ্যে বর্তমান সময়ের একজন সফল উপস্থাপিকা হিসেবে অধিক পরিচিত। তবে এর বাইরেও তিনি মূকাভিনয় শিল্পী ও অভিনেত্রীও। এই নাটকের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো ছোট পর্দায় তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করলেন। নাটকে মৌসুমীর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত। যিনি একজন শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
এই নাটকটি সম্পর্কে মৌ বলেছেন, ‘আমার বাবা একজন শিক্ষক। ছোট থেকে সবার কাছেই ‘স্যারের মেয়ে’ সম্বোধন শুনেই আমি বড় হয়েছি। স্কুলে কিংবা এলাকায় স্যারের মেয়ে বৃত্তি পেয়েছে এমনভাবেই আমাকে বলা হতো।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে: নিরব গাড়ি হতে নামার পরই এক ভিক্ষুক মেয়ের অসুস্থতার জন্য সাহায্য চান। নিরব তাকে ১০০ টাকার একটি নোট দেন। যাওয়ার সময় নিরব ভিক্ষুককে ভালো করে দেখার পর একেবারে যেনো ট্যাচু হয়ে যায়! অবাক দৃষ্টিতে তার দিকেই তাকিয়ে থাকে। ভিক্ষুকটি আর কেও নন, তার কলেজ জীবনের শিক্ষক রহমত উল্লাহ। রহমত উল্লাহ অবাক হয়ে নিরবের পরিচয় জানতে চান।
নিরব কী করবে ঠিক বুঝতে পারে না। তার চোখ দুটো শুধুই টলমল করে! কারণ হলো রহমত উল্লাহ একজন সৎ শিক্ষক ছিলেন। তার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশের অফিস-আদালতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তবে রহমত উল্লাহ স্যারের এই অবস্থা কী করে হলো? তার করুণ পরিণতির অনুসন্ধান শুরু করে দেয় নিরব। জানতে পারেন, রহমত উল্লাহ স্যারের একমাত্র মেয়ে ইয়াসমিনকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে পঙ্গু করে দেয়। তারপর গল্প মোড় নেয় এক ভিন্ন দিকে।
এমন একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘স্যারের মেয়ে’। রহমত উল্লাহ স্যারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা আবুল হায়াত, আর নিরব চরিত্রে দেখা যাবে মনোজ প্রামাণিককে। মৌসুমী মৌ অভিনয় করেছেন ইয়াসমিন চরিত্রে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।