দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্যারিয়ারে বেশিরভাগই সিনেমাতে কেন্দ্রীয় নায়িকার চরিত্রেই দর্শক মাত করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিশেষ করে বয়স নিয়ে নানা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। বয়সের সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন নায়িকা পূর্ণিমা।
ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে খ্যাত পূর্ণিমা ঢালিউড নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তার সৌন্দর্য অপরিবর্তনীয়। বর্তমানে বড়পর্দায় নিয়মিত না হলেও, টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোয়ে উপস্থাপনা বা বিচারক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। পূর্ণিমার চিরন্তন সৌন্দর্য নিয়ে মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। আসলে কী রহস্য রয়েছে পূর্ণিমার সৌন্দর্য্যে? দিনে দিনে আরও সুন্দরীই বা হচ্ছেন কিভাবে?
পূর্ণিমার এই সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি পূর্ণিমার বয়স নিয়েও আন্দাজ করতে দেখা যায় তাদের। বিভিন্ন ফটোশপ দিয়ে তাকে বুড়ি হলে কেমন দেখাবে সেই ছবিও পোস্ট করতে দেখা যায় অনেককেই। তবে ভক্তদের এই বিষয়টি মোটেও পছন্দ করেন না এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। রীতিমতো মন:ক্ষুণ্ণ হয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারটা কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এই দীর্ঘ জার্নিটা নিয়ে বলতে গেলে দুই এক লাইনে বলে শেষ করা যাবে না। তবে একটা ঝামেলা অবশ্য হয়েছে, এই দীর্ঘ সময়ে অনেক মানুষ আমাকে অনেক রকম ধারণা করে থাকেন। আমার বয়স নিয়ে। আমি এতোদিন কাজ করেছি আমার কী তাহলে ৪০, ৫০ বছর বয়স হয়ে গেছে। তাছাড়াও ফেসবুকে লাইভে এলে বাজে কমেন্টও করা শুরু করে অনেকেই।
পূর্ণিমার আরও বলেছেন, আমি কবেই বা বুড়ি হবো, কবে আমার বয়স বেশি হবে। আমাকে মনে হয় বুড়ি দেখার জন্যেই সবাই মুখিয়ে থাকেন। আমি বুড়ি হলে তো তোমরা কখনও ক্রাশ লিখতে পারবা না। মানুষ বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবে সেটিই স্বাভাবিক। তোমাদেরও মা রয়েছে, বোন রয়েছে, সবাই বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবে। এতো অস্থির কেনো আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য? দর্শকদের উদ্দেশ্যে পূর্ণিমা আরও বলেছেন, তোমরা এই প্যারিসিয়েশন করও আমি এখনও পর্যন্ত আছি, ভালোভাবে কাজ করছি ও তোমাদের ভালো ভালো কাজও দিতে পারছি। কে বুড়ি হয়ে গেলো, কার বয়স কতো এই বদনাম গুলো আসলে কারও না।
ক্যারিয়ারের ভালো দিক হিসেবে এই অভিনেত্রী বলেছেন, আল্লাহর রহমতে আমি এখনও পর্যন্ত সুন্দরভাবে সম্মান নিয়েই কাজ করছি। সিনেমা ও টেলিভিশনে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, যেটা অনেকেই পারেন না। এখন সিনেমায় না থাকলেও আমি মানুষের মনে, টেলিভিশনে রয়েছি। মানুষ পছন্দও করছেন, ভালোবাসছেন এটাই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এই জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু করেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তারও আগে স্বপন চৌধুরী পরিচালিত ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে পূর্ণিমা অভিনয় করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।