দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে কীভাবে সাফল্য আসবে? বা সাফল্যের রহস্যই বা কী? আজকের এই প্রতিবেদন তাদের জন্যই। জেনে নিন সাফল্যের রহস্য।
মানব ইতিহাসে সফলতার মূলমন্ত্রই হলো ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি। প্রশান্তি এবং সুসাস্থ্যের পরিপূরক শক্তি হলো ‘সাফল্য’। সাফল্য কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য নয়। সাফল্য হলো ক্রমাগতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলা। প্রতিটি অর্জনই হলো নতুন শুরু, নতুন যাত্রার এক প্রস্তুতি। প্রশান্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যের পথে প্রথম বাধা বা দেওয়াল হলো সন্দেহ সংশয় কিংবা অবিশ্বাস। আমি এই কাজটি করতে পারবো কি-না, হবে কি-না, যদি নাই-হয় তাহলে কী হবে—নানারকম নেতিবাচক প্রশ্ন, ভয় এবং আশঙ্কা অনেক সময় মানুষে মনে দানা বাঁধে।
আসলে প্রকৃত পঙ্গুত্ব মনের, সেটি আসলে দেহে নয়। সংশয় প্রথমেই মানুষের মনকে পঙ্গু করে দেয়। নেতিবাচক চিন্তা মনের মধ্যে এসে মস্তিষ্ককে তার বিশাল শক্তিভাণ্ডার নিয়ে লাগাতার কাজ করার পথে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে অনবরতো। সাফল্যের লক্ষ্যে মনোদৈহিক প্রক্রিয়া তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে পড়ে। বাস্তবে ব্যর্থতা এবং হতাশা গ্রাস করে মানব জীবনে।
তখন আজন্ম লালিত পরিবেশ কিংবা পরিবারের প্রভাবে ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা কিংবা সংস্কার দ্বারা সৃষ্ট অভ্যাসচক্রেই সাধারণ মানুষ ঘুরপাক খেতে থাকে। বাপ-দাদার ভ্রান্ত জীবনাচরণকেই সে মনে করে প্রকৃত জীবন। জীবন যে এর চেয়ে অনেক বড় কিছু তা তার ভাবনাতেই যেনো আসে না তখন। লালিত অভ্যাসচক্র তার মধ্যে এক ভ্রান্ত নিরাপত্তা বোধ সৃষ্টি করে থাকে। যে কারণে নতুন কাজ বা নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে ভয় পান; পাছে যা রয়েছে তা-ও যদি চলে যায় সেই ভয়ে!
সামনে আসা সুযোগকে এভাবে হাতছাড়া করার জন্যে দায়ী কিন্তু ভাগ্য নয় বা কোনোকিছুর অভাবও নয়, দায়ী তাদের মনোগত স্বভাব। আমি আসলে এমনই, আমাকে ঠিক এভাবেই চলতে হবে, আমার ভাগ্যে এই লেখা রয়েছে- এই ধরনের ভ্রান্ত চিন্তা-ভাবনা, ভ্রান্ত অভ্যাসচক্রের বন্দিত্ব জীবনে দুর্দশা এবং ব্যর্থতার দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দেখা দেয়।
কী করলে কী হতো, যদি এমন হতো, যদি আমার এটা থাকতো ইত্যাদি অলীক কল্পনাগুলোই দুর্দশাগ্রস্ত জীবনের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দেয়। অলীক কল্পনা মানুষকে নিয়ে যায় বর্তমান থেকে অনেক অনেক দূরে। নষ্ট করে দেয় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। ডুবিয়ে রাখে কেবলমাত্র আফসোস, আলস্য কিংবা অন্যের সাহায্যের অপেক্ষাতে।
অলীক কল্পনার ধরন বিভিন্ন হলেও এর মূলেই রয়েছে সবকিছু বিনা পরিশ্রমে এবং রাতারাতি পাওয়ার ভাবনা, কাজে ফাঁকি দেওয়া, সাফল্যের জন্যে অন্যের সাহায্যের আশা করা বা ব্যর্থতায় অন্যকে দোষারোপ করার মন মানসিকতা। আলাদিনের চেরাগ কিংবা অন্যের সাহায্যের অপেক্ষা করতে করতে সে ব্যর্থতা এক সময় হতাশায় হারিয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় কাজ সময়মতো না করে ফেলে রাখার নামই হলো আলস্য। কোনো আকাশ কুসুম কল্পনা, আড্ডা, টিভি, ইন্টারনেটে অযথা চ্যাটিং, ফেসবুক, এসএমএস- এই সবকিছুর জন্যে অলসরা সময় পায়, শুধু সময় পায় না কিংবা আগ্রহী হয় না প্রয়োজনীয় কাজ করার। শারীরিক দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা বা পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতার হাজারটি কারণ অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে থাকে এই ধরনের মানুষগুলো।
যখন তখন নিজেকে দুঃখী এবং অবহেলিত মনে করাও আলস্যের আরেকটি স্বরূপ। আলস্যের মূল কারণই হলো লক্ষ্যহীনতা- কাজটি কেনো করতে হবে তা নিজের কাছে কোনো রকম পরিষ্কার না থাকা। অবচেতন মনে পরিবর্তনের অনীহা অর্থাৎ করবো করবো করে কাজ ফেলে রাখাও হলো আরেকটি কারণ। তবে কারণ যা-ই হোক না কেনো, আলস্য এবং দীর্ঘসূত্রিতা জীবনের সকল সম্ভাবনাকেই নষ্ট করে দেয়। এই বিষয়ে ড. লুৎফর রহমানের একটি উক্তি রয়েছে- কর্তব্য জ্ঞানহীন, আলস্য মানুষের স্থান জগতে সকলের নীচে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।