দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডাস (আরএসএফ) নামে সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন বলেছে যে, বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে খারাপ জায়গাই হলো চীন।
এতে কারণ হিসেবে বলা হয়, চীন সরকার ইন্টারনেট সেন্সরশিপ চালু রেখেছে ও নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নজরদারি এবং প্রপাগান্ডাও অব্যাহত রেখেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তার ভিত্তিতেই ২০০২ সাল হতে সূচক প্রকাশ করে আসছে সাংবাদিকদের এই সংস্থা আরএসএফ। এই বছরও বিশ্বের দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে প্যারিসভিত্তিক এই সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।
বিশ্বের ১৮০টি দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতার হালহকিকত তুলে ধরা হয় এই সূচকে। আরএসএফ জানিয়েছে যে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দেশের মূল্যায়নে দেখা যায়, সাংবাদিকতা সম্পূর্ণ প্রতিরোধ বা বাধার মুখে রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সময় সাধারণ মানুষের সঠিক তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশের দিক দিয়ে এবারের প্রতিবেদনের শীর্ষ ১০ দেশ হল- নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, কোস্টা রিকা, নেদারল্যান্ডস, জ্যামাইকা, নিউ জিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড।
চীন ছাড়াও সূচকের সবচেয়ে তলানিতে থাকা আরও ৪টি দেশ হলো, জিবুতি, তুর্কমেনিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইরিত্রিয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সূচকে সবার উপরে রয়েছে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক এবং কোস্টারিকা।
এক বিবৃতিতে আরএসএফ মহাসচিব ক্রিস্টোফি ডেলয়ের বলেন, গুজবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় টিকাই হলো সাংবাদিকতা। সীমান্তজুড়ে, সামাজিক প্ল্যাটফর্মে, সামাজিকমাধ্যমে গুজবের জবাবে সাংবাদিকতা সবচেয়ে কার্যকর একটি মাধ্যম, যাতে নানাবিধ প্রমাণিত ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষ খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে পারেন।
আরএসএফ জানিয়েছে, ২০২১ সালেও ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থকদের সবচেয়ে বড় জেলার হলো চীন’। দেশটিতে ১২০ জনের বেশি কারাবন্দিও রয়েছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিরিস্থিতি তাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।