দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর সিনি: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন না হওয়া পর্যন্ত ওই মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের কর্মসূচি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএসআরএফএ’র সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জরুরি বৈঠক শেষে সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, রোজিনা ইসলামের জামিন না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের ব্রিফিং আমরা বর্জন করবো। সেই সঙ্গে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং লাঞ্ছিত করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বুধবার (১৯ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই সময় তপন বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং হেনস্তার প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করবে বিএসআরএফ, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো হবে। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে তথ্যমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে সাংবাদিকদের মূল সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান বিএসআরএফ’র সভাপতি তপন বিশ্বাস।
উল্লেখ্য যে, সোমবার (১৭ মে) ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রাখার পর হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।
রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। পরে খবর পাওয়া যায় যে, তাকে সেখানে কর্মকর্তারা একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন।
রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনটিতে যান। তবে দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি।
একপর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথি সরানোর অভিযোগ এনে পুলিশ ডাকা হয়। পরে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানায় যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় আনা হয়েছে।
প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ গণমাধ্যমে বলেন যে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে রোজিনা ইসলাম এই মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট করেন। যার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির রিপোর্টও ছিল। আমরা মনে করছি, এতে তিনি মন্ত্রণালয়ের আক্রোশের শিকার হয়ে থাকতে পারেন।’
এ ঘটনায় পুলিশ রোজিনা ইসলামের নামে তথ্য চুরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।
এদিকে একজন নারী সাংবাদিককে এভাবে সাড়ে ৫ ঘণ্টা ঘরে আটকে রাখায় দেশব্যাপি প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন। একজন নারী সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ায় নিন্দা অব্যাহতর রয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সারা দেশে মানব বন্ধন হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।