দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ভারতের আলোচিত ধর্মগুরু রামদেব। বিতর্ক ও চাপের মুখে তা শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহারে বাধ্য হলেন তিনি।
করোনাকালে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ভারতের আলোচিত বাবা রামদেব বলেছিলেন, ”অ্যালোপ্যাথি একটা স্টুপিড বিজ্ঞান। রেমডেসিভিরও ব্যর্থ হয়েছে, ফ্যাভিফ্লু ব্যর্থ হয়েছে, স্টেরয়েডও ব্যর্থ, প্লাজমা থেরাপি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদো ওষুধ সবই ব্যর্থ। মানুষ বলছে যে, কী তামাশা হচ্ছে।” এখানেই থেমে থাকেননি রামদেব। তিনি বলেছেন যে, ”ওরা তো দেহের তাপ কমিয়ে দিচ্ছে, তবে ভাইরাসের কিছু করতে পারছে না। সে কারণে রোগ হচ্ছে, তা ঠিক করার ক্ষমতা তোমাদের নেই।”
তারপরই আরও বড় বোমা ফাটান রামদেব। তিনি বলেন যে, ”আমি খুবই বড় কথা বলছি। হতে পারে যে কিছু লোক এর বিরোধিতাও করবে। তাও আমি বলবো, করোনায় লাখো মানুষের মৃত্যু অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়েই হয়েছে। বহু লোকের মৃত্যু অক্সিজেন না পাওয়ার জন্য হয়েছে, তার থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়েই হয়েছে।”
রামদেবের এই ভয়ংকর বক্তব্য চিকিৎসকরা মেনে নিতে পারেননি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও তা মানতে পারেননি। চিকিৎসকরা ব্যক্তিগতভাবেও প্রতিবাদ করেছেন। চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আইএমএ বাবা রামদেবকে আইনি নোটিশও পাঠায়। তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে বলেছে, হয় এই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পাটই তুলে দেওয়া হোক, না হলে রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এমন চাপের মুখে হর্ষবর্ধন চিঠি লেখেন রামদেবকে। সেখানে তিনি বলেন যে, ”চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা রাতদিন ধরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। সারাদেশে তারা এই কাজ করে আসছেন। করোনার বিরুদ্ধে যোদ্ধাদের নিয়ে এই আপত্তিকর মন্তব্য প্রত্যাহার করুন।”
এই চিঠি পাওয়ার পরই রামদেব জানান, তার মন্তব্য প্রত্যাহার করছেন। তবে কিছুক্ষণ পরই আরেকটি টুইট করে তিনি বলেছেন যে, ”যোগ এবং আয়ুর্বেদ আমাদের পূর্ণ স্বাস্থ্য দেয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটা রোগলক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করে থাকে। যোগ ও আয়ুর্বেদ সিস্টেমেটিক চিকিৎসা করে।”
চাপের মুখে তার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিলেও এখনও যোগ এবং আয়ুর্বেদকে অ্যালোপ্যাথির উপরেই রাখছেন ভারতের এই বিতর্কিত বাবা রামদেব।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on মে ২৫, ২০২১ 11:26 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দশকেরও বেশি সময়ে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সুরা কৃষ্ণ চাকমা যেমন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুট্টা এবং মরিচ চাষিদের জন্য ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের…